শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২৮ রাত
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতে কম দামে ইলিশ রফতানি, বৈদেশিক আয় কমবে ১২০ কোটি টাকা!

আইরিন হক, বেনাপোল (যশোর): বাজারমূল্যের অর্ধেক দামে ইলিশ রফতানির কারণে প্রায় ১২০ কোটি টাকার বৈদেশিক আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার—এমন আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে আশঙ্কা রয়েছে এ অর্থ অবৈধ লেনদেনে ব্যবহার হওয়ার।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য ১২ ডলার ৫০ সেন্ট (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৫৫০ টাকা) নির্ধারণ করায় তারা এ সুযোগ নিচ্ছেন। অথচ স্থানীয় বাজারে এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২,৫০০ থেকে ২,৬০০ টাকায়। অর্থাৎ কেজিপ্রতি প্রায় ১,০০০ টাকা কম দেখিয়ে রফতানি হচ্ছে।

বাণিজ্যিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৭ মেট্রিক টন। চাহিদা কম থাকলেও ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর দুর্গাপূজায় বিশেষ বিবেচনায় ভারতে ইলিশ রফতানি হচ্ছে। এ বছর ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৭ জন রফতানিকারককে ১,২০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ৯ দিনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র ১০২ টন ইলিশ ভারতে গেছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, কম মূল্যে রফতানির ফলে বৈদেশিক আয় কমছে, আবার অবৈধ লেনদেনের সুযোগ বাড়ছে। বাজারেও সংকট তৈরি হচ্ছে।

বেনাপোল স্থলবন্দর মৎস্য ও মাননিয়ন্ত্রণ অফিসের ইন্সপেক্টর আসওয়াদুল ইসলাম বলেন, “বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রতি কেজি ১২.৫০ ডলার নির্ধারণ করায় আমরা আটকাতে পারি না। বাজারমূল্য কম হলেও নিয়ম অনুযায়ী রফতানি চলছে।”

গতবারের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, অনুমতি পাওয়া ৪৯ জন রফতানিকারকের মধ্যে মাত্র ২০ জন ইলিশ রফতানি করতে পেরেছিলেন। এবারের ১,২০০ টন রফতানির লক্ষ্য নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়