জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ডিএন.ডিগ্রি কলেজে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নকলের অভিযোগে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে আজ রবিবার বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ খালেকুজ্জামান খানের সাক্ষরিত একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি)।
সেই সাথে বাউবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক(ভারপ্রাপ্ত) হাবিবুল্লাহ মাহমুদের সাক্ষরিত একটি চিঠিতে পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ পীরগঞ্জ ঠাকুরগাঁওয়ে কেন্দ্র নির্ধারণ করে বাউবি পরিচালিত বিএ এবং বিএসএস পরীক্ষা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে মর্মে আদেশ জারি করে। এবং ডি এন ডিগ্রি কলেজ পীরগঞ্জ ঠাকুরগাঁও পরীক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ/ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট থেকে পরীক্ষার সামগ্রী (পরীক্ষার খাতা, হাজিরাশীটসহ অন্যান্য কাগজ পত্র) বুঝিয়া নিয়ে সুষ্ঠ ও নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত শুক্রবার বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) ২০২৪ সালের বিএ ও বিএসএস পরীক্ষার ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা চলাকালীন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ডিএন.ডিগ্রি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নকলের অভিযোগে বিভিন্ন সংবাদ মিডিয়ায় ফলাও করে সংবাদ প্রচার করা হয়।
এ সংক্রান্ত সংবাদ ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হয়।
এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কক্ষ পরিদর্শকদের দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকটি কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
সিদ্ধান্তগুলো হলো:- পীরগঞ্জ ডিএন ডিগ্রি কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে বাতিলকৃত কেন্দ্রের পরিবর্তে পীরগঞ্জ সরকারি কলেজ ঠাকুরগাঁওতে নতুন কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাউবির ঠাকুরগাঁও উপ-আঞ্চলিক কেন্দ্রের যুগ্ম-পরিচালক ড. মোঃ আসাদুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্তের জন্য ৪ সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ডিএন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাউবির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই পরীক্ষায় অসদুপায়কে প্রশ্রয় দেয় না। নকল প্রবণতা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়, বরং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”