শিরোনাম
◈ এমপিদের পেনশন, গাড়ি কেনা নিয়ে ক্ষেপল এশিয়ার আরেক দেশের জেন-জি ◈ আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির ◈ ১৬ দিনে এলো ২০৪১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় ◈ কিছু মহল এখনো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ নির্বাচন পিআর এর মাধ্যমে হবে না, সেটা তো হবে সংবিধান সংশোধনের পরে: নজরুল ইসলাম  খান  ◈ এদেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল : বিবৃতিতে তারেক রহমান ◈ ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা  ◈ নোয়াখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, চালক নিহত ও আহত ১২ ◈ আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ‘ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে’: রিজভী ◈ বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না

প্রকাশিত : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৩:৪২ দুপুর
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের ভবন অর্ধেকেই থেমে গেল

ঈশ্বরদী (পাবনা) থেকে: পাবনার ঈশ্বরদীতে জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের নতুন তিনতলা ভবনের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে থমকে আছে। প্রায় তিন বছর আগে কাজ শুরু হলেও এখনো অর্ধেকের বেশি শেষ হয়নি। ছয় মাস আগে ছাদ পর্যন্ত কাজ করে কার্যক্রম স্থগিত করে দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে রড, ইট ও বালুর মতো মূল্যবান উপকরণ অযত্নে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ পুরোনো ভবনের নিচতলায় চলছে দফতরের কার্যক্রম। আর নতুন ভবনের সামনে ফেলে রাখা নির্মাণসামগ্রীর ওপর ধুলো-বালি ও ছ্যাওলা জমে গেছে, যেন বহুদিনের পরিত্যক্ত স্থাপনা।

জানা গেছে, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবনটির কাজ শুরু হয় ২০২২ সালের নভেম্বরে। কাজের দায়িত্ব পায় মেসার্স বার্ডস কনস্ট্রাকশন। চুক্তি অনুযায়ী, এক বছরের মধ্যে ভবন হস্তান্তরের কথা ছিল। কিন্তু শুরুতেই স্থানীয় সহ-ঠিকাদারদের কাছ থেকে সামগ্রী নিয়ে আংশিক কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি আবার বন্ধ করে দেয়। একাধিকবার সময় বাড়ানো হলেও নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও কাজ এগোয়নি।

প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রভাব খাটিয়ে বার্ডস কনস্ট্রাকশন বিভিন্ন জেলায় ভবন নির্মাণের অনুমোদন নিয়েছিল। কিন্তু একটিও কাজ সময়মতো শেষ করতে পারেনি। নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে বারবার কাজ স্থগিত করেছে তারা।

স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অভিযোগ করেন, উপকরণে অনিয়ম হয়েছে। দরপত্র-সংক্রান্ত নথি চাইলে প্রকৌশল বিভাগ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তা দেখাতে রাজি হয়নি।

কেন্দ্রের অফিস সহকারী মো. আজহার আলী বলেন, ‘২০২২ সালে কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে কতবার বন্ধ হয়েছে, তার হিসাব নেই। এখন ভবনের ভেতর নেশাখোরদের আড্ডা বসে।’

বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আদনান ইসলাম জানান, ‘এক বছরের কাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। বিভিন্ন অংশে ছ্যাওলা পড়ছে। রাত হলে মাদকসেবীরা ভিড় করে, এতে নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছি।’

জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপপরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিন বছরেও ভবনের কাজ শেষ হয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে পুরোনো ভবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি।’

এলডিডিপি প্রকল্পের পরিচালক ডা. জসিমউদ্দীন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি মানসম্মত না হওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমরাও বিব্রত। দ্রুত কাজ শুরু করাতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে বার্ডস কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী আবুল কাসেম সীমান্ত বলেন, ‘এই কাজ নিয়ে অনেক ক্ষতি হয়েছে। সরকার ফান্ড না দেওয়ায় রাগ করে কাজ বন্ধ রেখেছি। টাকা পেলে আবার শুরু করব।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়