মেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
২০১৮ সালে ওই ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে আজ সোমবার বাবাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
রায়ে আসামির সকল স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে মেয়েকে দিতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মো. এরশাদ আলম জর্জ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট। এ রায় সমাজে এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।’
২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর মেয়েটির নানি বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় তাঁর বাবার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম মেহেদী হাসান ২০১৯ সালে ৩১ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণসহ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ ট্রাইব্যুনাল আজ রায় দিল।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ভাড়া বাসায় ভিকটিম ও তার বাবা। কোনো একদিন রাত সাড়ে ৩টার দিকে আসামি ভিকটিমকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন। ঘটনার প্রায় ২ বছর আগে থেকেই বিভিন্ন সময় আসামি ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। এর ফলে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে যান। উৎস: আজকের পত্রিকা।