ইমরুল কায়েশ, (যশোর) : বিগত সরকার আমলে দমন পীড়নসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের দুই সিবিএ নেতাকে হেফাজতে নিয়েছে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখার ডিবি।
শুক্রবার( ৮আগস্ট) সকালে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের একটি কর্মী সম্মেলন থেকে তাদের ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়।অভিযুক্তরা হলেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কেন্দ্রীয় সিবিএ সভাপতি এনামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন।
ডিবির অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক জানায়, তাদের বিরুদ্ধে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় নাশকতা কর্মকাণ্ডের একটি সিআর মামলা রয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে বিগত সরকার আমলে দমন পীড়নসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ওই দুই সিবিএ নেতা যশোর সদর উপজেলা কম্পাউন্ডে খুলনা বিভাগের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সিবিএ অন্তর্ভুক্ত স্টাফদের নিয়ে সম্মেলন করছিলেন।
প্রোগ্রাম চলা অবস্থায় দুপুরের দিকে যশোরে সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের কাছে তথ্য আসে সিবিএ নেতা এনামুল হক ও রুবেল হোসেন নাশকতা মামলার আসামি। বিগত সরকারের সময়ে গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ওই দুই নেতা নানা দমন পীড়ন ও নানা নাশকতা কর্মকাণ্ড করেন বলেও তথ্য আসে। ওই তথ্যে সিনিয়র অফিসারদের নির্দেশনায় যশোর জেলা ডিবির একটি টিম যশোর সদর উপজেলা কম্পাউন্ডে চলমান প্রোগ্রামে গিয়ে দুই নেতাকে হেফাজতে নেয়। তাদেরকে যশোর ডিবি কার্যালয়ে আনা হয় দুপুরেই।
এদিকে ডিবিসহ আইন প্রক্রিয়া সংস্থার একাধিক টিমের অভিযানে তুমুল হইচই শুরু হয় উপজেলা কম্পাউন্ডে। ওই প্রোগ্রামে আসা শতাধিক স্টাফ দিকবিদিক ছোটাছুটি করে স্থান ত্যাগ করেন। ডিবি কার্যালয়ে আটক দুই সিবিএ নেতাকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নানা বিষয়ে। পেশাগতভাবে এই দুই সিবিএ নেতা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের মাঠ সহকারী পদে কর্মরত রয়েছেন।
গত ২০২৩ সালে আওয়ামী সমর্থিত সিবিএ প্যানেল থেকে জবরদস্তি ভোট আদায় করে তারা পাস করেন। ঢাকা যাত্রাবাড়ী এলাকায় কয়েকটি নাশকতা ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে তাদের নামে মামলা করা হয়। মামলাটি সিআর, যা ঢাকার আদালতে চলমান।
এদিকেএ ব্যাপারে যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা ডিবির অফিসার ইনচার্জ এনামুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের দুই সিবিএ নেতা এনামুল হক ও রুবেল হোসেন ডিবি হেফাজতে রয়েছেন সত্য। তবে তাদেরকে এখনো আটক দেখানো হয়নি। এ ব্যাপারে সিনিয়র অফিসাররা তদারকি করছেন। প্রাথমিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে সি আর মামলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে ওই মামলায় তারা আটক যোগ্য নন। তবে অন্য আরো কয়েকটি অভিযোগের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে সিনিয়র অফিসারদের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে ।।