বরুন কুমার বাড়ৈ, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি: বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অবস্থিত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এখন রোগীদের জন্য এক চরম ঝুঁকির স্থানে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টি হলেই হাসপাতাল ভবনের ছাদ দিয়ে পানি চুইয়ে পড়ে রোগীদের গায়ে, বিছানায় ও মেঝেতে। এতে চিকিৎসাসেবা নেওয়া যেমন কঠিন হয়ে পড়ছে, তেমনি রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
সম্প্রতি কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে হাসপাতালের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ার্ডের ছাদ চুইয়ে মেঝেতে পানি জমে যায়। এতে রোগীরা বাধ্য হয়ে বারান্দায় বসে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন। চারপাশের ড্রেনগুলো আবর্জনায় আটকে থাকায় পানি বেরোতে না পেরে হাসপাতালের পেছনে জমে থাকে এবং তা থেকে ছড়ায় তীব্র দুর্গন্ধ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০০৪ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও পরবর্তী সময়ে কোনো কার্যকর সংস্কার হয়নি। ভবনের বিভিন্ন অংশে প্লাস্টার খসে পড়ছে। বৃষ্টির সময় ছাদ ও দেয়াল চুইয়ে পানি পড়ে সরাসরি রোগীদের গায়ে। এতে চিকিৎসাসেবার পরিবেশ হয়ে পড়েছে অত্যন্ত করুণ ও অস্বাস্থ্যকর।
হাসপাতালের জেনারেটর দীর্ঘদিন ধরে বিকল থাকায় বিদ্যুৎ না থাকলে রোগীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। পানি সরবরাহেও নিয়মিত ঘাটতি থাকে। ফলে টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ময়লা-আবর্জনা জমে চারপাশে সৃষ্টি হচ্ছে দুর্গন্ধ।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী দেলোয়ার মল্লিক, জনি সরদার ও মাহিনুর বেগম বলেন, “এখানে মানুষ সুস্থ হতে আসে, কিন্তু বিদ্যুৎ-পানি থাকেনা, ওয়াশরুম ব্যবহার করা যায় না। বৃষ্টির সময় ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে মেঝেতে হাঁটা যায় না।”
এ বিষয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. গোলাম মোর্শেদ সজীব বলেন, “হাসপাতালের মূল ভবনটি সত্যিই ঝুঁকিপূর্ণ। পানি চুইয়ে পড়ছে, রোগীরা ঠিকভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। ভবন সংস্কারের জন্য একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। বরাদ্দ পেলে সংস্কার করা হবে।”