এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : আমাদের বাড়িতে অনেক জিনিস ছিলো, শুধু মায়ের ঘর থেকে একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল চুরি গেছে।
অন্যান্য তিনটা ঘরেই নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিস ছিল সেগুলো কিছুই নেয়নি চোরেরা। মায়ের কানের দুলের বর্তমান মূল্য প্রায় লক্ষাধিক টাকা। থানায় জানানো হয়নি,থানায় গিয়ে কি হবে, শুধু ট্যাক্যা খাব্য়েঁ এভাবেই বলছিলেন রিফাত হোসেন নামের এক যুবক।
তিনি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির পূর্ব ঢাকা রোড এলাকার ঘরোয়া খাবার হোটেলের স্বত্বাধিকারী এনামুল হকের ছেলে। গত চারদিন আগে চোরেরা তাদের মূল্যবান জিনিস চুরি করে নিয়ে গেলেও থানায় অভিযোগ করেননি তিনি। অভিযোগ দিতে বলায় গণমাধ্যম কর্মীর আক্ষেপের সুরে এমন কথাগুলো বলেন তিনি।
চুরির ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব ঢাকা রোড এলাকায় ঘরোয়া খাবার হোটেলের স্বত্বাধিকারী এনামুল হকের বসতবাড়িতে। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। অথচ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের নেই জোড়ালো ভূমিকা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির পূর্ব ঢাকা রোড এলাকায় ঘরোয়া খাবার হোটেলে পরিবার নিয়ে খাবারের ব্যবসা করে আসছিলেন এনামুল হক। গত বৃহস্পতিবার রাতে বসতবাড়ির সদর গেটে তালা দিয়ে খাবার হোটেলে আসেন তারা। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সদর গেটের তালা ভেঙে কে বা কাহারা ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর একে একে তিনটি ঘরের দরজার তালা ভেঙে চুরির উদ্দেশ্যে একটি ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে চলে যায়। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
ইতিপূর্বে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরপরেও নেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে পুলিশের জোড়ালো পদক্ষেপ।
ভুক্তভোগী এনামুলের ছেলে রিফাত হোসেন জানান, বাড়িতে অনেক জিনিসপত্র ছিলো। শোকেসে নগদ প্রায় ৩ লাখ টাকাসহ স্বর্ণালংকার ছিলো। সময় সল্পতার কারনে হয়তো চোরেরা শুধু মায়ের একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও নগদ কিছু টাকা নিয়ে চলে যান। দিবারাত্রি আমাদের খাবার হোটেল খোলা থাকে৷ এখানে পুলিশসহ অনেকেই খেতে আসে। প্রায় সব সময় লোকজনের আনাগোনা। এরমাঝে হোটেলের পাশে আমার বাড়ি চুরির ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত হয়েছি। ইতিপূর্বে এমন ঘটনা এই এলাকায় হয়নি বলে জানান তিনি।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি৷ অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।