যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে পাহাড়তলী রেলওয়ের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তর
এম আর আমিন, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম পাহাড়তলী রেলওয়ে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরে কার্যালয়ের দেওয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে, ছাদে উপরে টিন দিয়ে বৃষ্টি পানি বাহির পরার আগে ভিতরে পরে, সাইলা জমে টিনের উপরে বিভিন্ন রকমে গাছ জম্ম নিয়েছে। চট্টগ্রাম রেলওয়ে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরটি এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে কার্যক্রম। প্রতিদিন কর্মকর্তা কর্মচারীরা ঝুঁকি নিয়ে সরকারি কাজ চলিয়ে যাচ্ছে।
কার্যালয়টির দেয়ালে বড় বড় ফাটল ছাদের টিনে তেরপাল দিয়ে ডেকে রেখেছে । সিলিং ফ্যানের হুক গুলো মরিচা ধরে নষ্ট। ভবনের অনেক স্থানে মেঝের ঢালাই উঠে গেছে। বিদ্যুৎ লাইনও ঝুঁকিপূর্ণ। বৃষ্টি শুরু হলে টেবিলের ওপর পলিথিন দিয়ে রক্ষা করা হয় প্রয়োজনীয় দলিল-দস্তাবেজ কাগজপত্র।
এই ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি কার্যালয়টির সেখানে বছরের কয়েকশ কোটি টাকার রেলসেবার উন্নয়ন কেনাকাটা হয়— বাস্তবতা ঘিরে জনমনে তৈরি হয়েছে
নানা প্রশ্ন!,অফিস কার্যালয়টি নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই উদ্বেগ থাকলেও, উন্নয়ন ব্যয় বরাদ্দ পারছে না।সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভবনটি পুরাতন ও দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।বিভিন্ন স্থানে ফাটল,ছাদের টিন তেরপাল দিয়ে ডেকে কাজ চলছে,ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দৃশ্যমান।
একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,বৃষ্টির পানি থেকে কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র রক্ষা করার জন্য ভবনের ভেতরের অংশের ফাইলের ওপর পলিথিন দিয়ে রাখা হয়। ভবনের চারপাশে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। বাইরে থেকে দেখলে এটাকে পরিত্যক্ত ভবন বলে মনে হয়। সংস্কারের অভাবে ভবনটি এখন ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
বৃষ্টি হলে আমরা অনেক সময় অফিসের ফাইলের কাগজ রক্ষা করতে গিয়ে নিজেরাই ভিজে যাই। ভবনটির অবস্থা খুবই নাজুক। যে কোন মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আগেই দ্রুত মেরামত করা উচিত। অফিসে ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় সকলের জন্য অফিসটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং প্রায় পরিত্যক্ত। আমাদের সবার দাবি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে দ্রুত কার্যালয়টি মেরামত করা হোক।তা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
চট্টগ্রাম পাহাড়তলী রেলওয়ে প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক দপ্তরটি সিসিএস বেলাল সরকার বলেন, কার্যালয়ের অফিস ঝুকিপূর্ন অবস্থায় কার্যক্রম চলছে। তবে প্রতিকারের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশাকরি এ সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।