শিরোনাম
◈ ইরানের প্রতি পাকিস্তানের পূর্ণ সমর্থন ◈ বৃহৎ ইসলামি জোট শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখবে কি? ◈ মোসাদের দুঃসাহসিক অভিযান: ২৭ সিন্দুক পরমাণু নথি চুরি ও বিজ্ঞানীদের গুপ্তহত্যার বিস্ময়কর ইতিহাস ◈ সরকারি খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও দক্ষতা বাড়াতে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক ◈ ড. ইউনূস-তারেকের বৈঠক নিয়ে নতুন রাজনীতি, বিভক্ত রাজনৈতিক দলগুলো ◈ অ‌স্ট্রেলিয়া‌কে হারি‌য়ে টেস্ট চ‌্যা‌ম্পিয়ন‌শি‌পের শি‌রোপা জিত‌লো দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকা ◈ ট্রফি থেকে প‌তৌ‌দির নাম মুছে ফেলায় মনকষ্ট বি‌সি‌সিআইর, সম্মানরক্ষায় ইংল্যান্ড বোর্ডকে অনু‌রোধ ◈ গভর্নরের লন্ডন সফরে কী পেলো বাংলাদেশ, যা জানাগেল ◈ মে‌রি‌লি‌বোন ক্রিকেট ক্লাব বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচের নিয়মে যে পরিবর্তন আন‌তে যা‌চ্ছে ◈ কোচ কাবরেরার উপর গরম দেখা‌লেন বাফু‌ফে সদস‌্য, চাই‌লেন তার পদত্যাগ, বিব্রত সভাপ‌তি

প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০২৫, ১২:০৩ দুপুর
আপডেট : ১৩ জুন, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঠাকুরগাঁওয়ে বাবার চোখের সামনেই নদীতে ডুবে প্রাণ গেল ভাই বোনের

জাকির হোসেন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঈদের ছুটিতে বাবার সঙ্গে নানার বাড়ি বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে প্রাণ গেল দুই ভাই-বোনের। নাগর নদে বাবার চোখের সামনেই পানিতে ডুবে গেল ১১ বছরের বোন ও ৬ বছরের ভাই। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় বোনের নিথর দেহ উদ্ধার করা গেলেও ভাইয়ের কোনো সন্ধান মেলেনি।
 
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরের দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের মানিকহাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
 
নিহত মেয়ে শিশুর নাম সাবিনা আক্তার (১১) এবং নিখোঁজ রয়েছে তার ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেন (৬)। তাদের বাবা আমিরুল ইসলাম রংপুর থেকে পরিবার নিয়ে মানিকহাড়ি গ্রামে শ্বশুর শামসুল হকের বাড়িতে ঈদ করতে এসেছিলেন।
 
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনরা জানায়, আমিরুল ইসলাম পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন।
 
বৃহস্পতিবার দুপুরে তীব্র গরম থেকে স্বস্তি পেতে দুই সন্তান সাবিনা ও সাদ্দামকে নিয়ে বাড়ির পাশে নাগর নদে গোসল করতে যান তিনি। বাবা ও সন্তানরা মিলে পানিতে নেমে আনন্দ করছিলেন। কিন্তু কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ নদীর গভীর অংশে চলে যায় দুই শিশু। চোখের পলকে স্রোতের টানে তলিয়ে যায় তারা।
 
সন্তানদের ডুবে যেতে দেখে বাবা আমিরুল ইসলাম তাদের বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন, কিন্তু পারেননি। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে নদী থেকে উদ্ধার করলেও শিশু দুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খবর পেয়ে গ্রামবাসী নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। 
 
ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে সাবিনার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু ছোট ভাই সাদ্দামের কোনো খোঁজ মেলেনি।
 
আদরের মেয়ের মরদেহ বুকে জড়িয়ে বাবার আর্তনাদে সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। পুরো গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। ৩ নম্বর বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রংপুর থেকে বেড়াতে এসে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটবে, তা কেউ ভাবতে পারেনি। বাবার সামনেই দুই সন্তান পানিতে ডুবে গেল। আমরা মেয়েটির লাশ পেয়েছি, কিন্তু ছেলেটি এখনো নিখোঁজ।’
 
হরিপুর থানার ওসি জাকারিয়া মন্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়