শিরোনাম
◈ ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধের কতটা প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে? ◈ ছয় দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন এক ভিসায় ◈ আমরা জানি খামেনি কোথায়, তাকে এখনই মারছি না— ট্রাম্পের পোস্টে উত্তেজনা ◈ শহীদ পরিবার ও যোদ্ধাদের অধিকার রক্ষায় জুলাই অধ্যাদেশ: প্রতারকদের জন্য কারাদণ্ডের বিধান ◈ ট্রাম্পের নতুন বার্তা ইরান-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে ◈ বিএনপি-এনসিপি অংশ নিলেও জামায়াত সংলাপে অনুপস্থিত: যা বললেন প্রেস সচিব ◈ আমাদের বাঁচান, আমার বাসা পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিয়েছে' বিবিসিকে বললেন তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ◈ সরকারি কাজে বাধাদান 'ক্রিমিনাল অফেন্স' করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার ◈ খালেদা জিয়া, ফখরুল, মোশাররফ, গয়েশ্বর ও হাফিজের আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী যারা! ◈ কুমিল্লায় প্রেমিকের খোঁজে বেরিয়ে গণধর্ষণে শিকার তরুণী, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২৫, ১০:৪৩ দুপুর
আপডেট : ২১ মে, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উপকূলের ঈদ আনন্দ পানিতেই

বিডি প্রতিদিন: ঈদ মানে খুশি। এ খুশির দিনেও কাজ করতে হয় উপকূলে থাকা জেলেদের। তাদের ঈদ আনন্দ মনে থাকলেও জীবিকার তাগিদে তারা কাজ করে যাচ্ছে অবিরাম। তারা রোদ বৃষ্টি, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর-নদীতে মাছ শিকার করছে। মাছ শিকারেই যেন ঈদের আনন্দ তাদের।

আজ ঈদের দিন, এক শ্রেণীর মানুষ ঈদের খুশিতে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাওয়া আসা করছে, দেখাশোনা করছে, কোলাকুলি করছে। অন্যদিকে অধিকাংশ জেলেরা নদীতে সারিবদ্ধ হয়ে মাছ শিকার করছে। এখানেই যেন তাদের ঈদ আনন্দ। উপকূলে দেখা যাবে এমন চিত্র। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দের সময় না কাটিয়ে নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েছেন।

উপকূলীয় উপজেলা পাথরঘাটা। এখানকার মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা, দ্বিতীয় পেশা কৃষি কাজ। এখানকার নিম্ন শিক্ষিতদের সঙ্গে শিক্ষিত বেকার যুবকেরাও জীবিকা নির্বাহ করে। নগদ টাকা পাওয়ায় প্রতিদিনই তারা ঝুঁকছে এ পেশায়। সাগর ও নদীবেষ্টিত এ অঞ্চলের বেকার যুবকেরা পূর্ব পুরুষের মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহের পথ বেছে নিয়েছে। ঈদুল ফিতরের দিনও তারা এ কাজে নিয়োজিত।

গভীর বঙ্গোপসাগরের পাশাপাশি নদ-নদীতেও দিনরাত বিরামহীন কর্মযজ্ঞ। এ বিরামহীন এ কাজ ঈদের দিনেও থেমে নেই। প্রতিদিনের মতো ভোর রাতে নদীতে জাল ফেলে আবার সময় মতো জাল টানতে হবে। তাই ঈদের নামাজ শেষে বিষখালী ও বলেশ্বর নদে জাল টানতে যান কবির হোসেন, আ. জব্বার, সোহরাব ভাণ্ডারিসহ অনেক জেলে।

তারা বলেন, আমাদের কোনো বিশেষ দিন নেই। প্রতিদিনই আমাদের কাছে সমান। ঈদ ছাড়া যেমন আমাদের দিন কাটে, ঈদের দিনও ঠিক এমনভাবেই কাটে। প্রতিদিনের মতো ভোর রাতে নদীতে জাল ফেলে আসছি ঈদের নামাজটা পড়ে আবার জাল টানতে যাচ্ছি।

আ. জব্বার বলেন, ঈদের দিন সকালে বাবা-মায়ের কবর জেয়ারত করে, ঈদের নামাজ শেষ করে নদীতে জাল টানার জন্য রওয়ানা হয়েছি। যদি কয়েকটা মাছ পাই তা বিক্রি করে পোলাপাইনের জন্য নতুন জামা কিনবো।

একই গ্রামের  নুরুল আলম বলেন, বংশ পরম্পরায় এ কাজ করছি। আমরা এ পেশা ছাড়া আর কোনো কাজ শিখিনি। তিনি মুঠোফোনে বলেন, ভোর রাতেই নদীতে আইছি, এখন পর্যন্ত বাড়িতে যাইতে পারি নাই, ঈদের নামাজও পড়তে পারি নাই। এটাই আমাদের ঈদ‌। 

উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, বছরের একটি দিন সকলের কাছে আনন্দের। সবাই এ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। কিন্তু উপকূলের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। এখানে অধিকাংশ মানুষ ঈদের দিনও জীবিকার জন্য সাগর নদীতে মাছ শিকার করছে। এখানেই ব্যতিক্রম যা নিজ চোখে না দেখলে বুঝা যাবে না উপকূল জীবন -জীবিকা বা জীবনযাত্রার চিত্র।

বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, পাথরঘাটায় অসংখ্য জেলে রয়েছে তাদের মূল পেশা হচ্ছে মাছ শিকার। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত, সন্ধ্যা হয়ে সকাল পর্যন্ত কর্মব্যস্ত থাকতে হয় এসব জেলেদের।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়