ব্যস্ত নগরজীবনে জীবিকার প্রয়োজনে মানুষের নিরন্তর ছুটে চলা। তবে এই ছুটে চলার পথে রাজধানী ঢাকায় প্রধান অন্তরায় যানজট। ঢাকায় যানজট নতুন কিছু নয়; তবে গত কয়েক বছরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কারণে যানজট পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে অসহনীয়। যার ফলে প্রতিদিন সড়কেই নষ্ট হচ্ছে মানুষের মূল্যবান কর্মঘণ্টা। সেইসঙ্গে বেড়েছে অটোরিকশাজনিত দুর্ঘটনাও।
বর্তমানে রাজধানীর সড়কে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। লাইসেন্সবিহীন এসব অবৈধ বাহনের লাগামহীন দাপটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গোটা রাজধানীজুড়ে প্রধান সড়কগুলোতে বাধাহীনভাবে চলছে এসব অটোরিকশা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে লাগাম টানা না গেলে সড়কে যানজটের পাশাপাশি দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়বে। সরকারের উদ্যোগে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামো প্রণয়ন করে অটোরিকশার শৃঙ্খলা ফেরানো জরুরি বলে মত তাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সব নিয়ম কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়ে রাজধানীতে প্রতিনিয়ত অনায়াসে চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দেখা যায়, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে শান্তিনগর ফ্লাইওভারে উঠে গেছে এক অটোরিকশাচালক। একজন ট্রাফিক পুলিশ দৌড়ে গিয়ে তাকে থামাতে গেলে চালক উল্টো পুলিশের সঙ্গেই তর্কে জড়ান।
পুরান ঢাকা থেকে গতকাল সন্ধ্যায় ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে মাকে ডাক্তার দেখাতে আসেন সিফাত আহমেদ। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, ‘ মাকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তা দিয়ে পার হচ্ছি, হুট করে একটি অটো সামনে দিয়ে চলে আসে এবং মাকে ধাক্কা দেয়। মা পড়ে গিয়ে হাতের কনুইয়ে প্রচণ্ড ব্যথা পান। চালক না থেমেই সেখান থেকে চলে যায়। পায়ে চালিত রিকশা হলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটতো না। চারদিকে যেদিকে তাকাই শুধু অটোরিকশা। মনে হয় এই শহরটা অটোরিকশা চালকদের, আর আমরা ভাড়াটিয়া।’
গত মঙ্গলবার রাস্তা পার হতে গিয়ে অটোরিকশা চালকের বেপরোয়া গতিতে আহত হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাবাসসুম মীম। ঢাকা ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফেরেন তিনি।
বাংলা ট্রিবিউনকে মীম বলেন, সড়কের দু'পাশে সব অটোরিকশা। যেদিকে তাকাই শুধু অটোরিকশা। রাস্তা পার হওয়ার সময় হঠাৎ পেছন থেকে একটি অটোরিকশা এসে ধাক্কা দেয়। রাস্তায় পড়ে আমার হাঁটুর চামড়া উঠে যায়। রিকশাচালক উল্টো আমাকে অকথ্য ভাষায় বকা দিয়ে চলে যায়।’
এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে অটোরিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিলেও চাপের মুখে আদেশ প্রত্যাহার করে নেয় শেখ হাসিনা সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে মহানগরীতে অটো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত। অটোচালকদের তীব্র আন্দোলনে তাও কার্যকর হয়নি। এরপর থেকে সড়কে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অটোচালকরা। নিরাপত্তার জন্য হলেও সরকারের উচিত অন্তত প্রধান সড়কে অটো বন্ধে দ্রুতই কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া।’
পরিসংখ্যান বলছে, গত একবছরে রাজধানীসহ সারাদেশের সড়কে তিন চাকার বাহনে দুর্ঘটনার সংখ্যা প্রায় এক হাজার, সেখানে হতাহতের তালিকাও বেশ বড়।
জনবহুল ও যানজটের এই নগরে বৈধ যানবাহন সামলাতেই হিমশিম ট্রাফিক পুলিশের। সেখানে অদক্ষ চালকদের এলোমেলো চলাচলে নগরীর সড়কগুলোতে প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। এমন পরিস্থিতিতে অটোরিকশার দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও।
লাইসেন্স এবং শৃঙ্খলার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ নগরবাসীর
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স এবং নির্দিষ্ট নীতিমালা হলে শহরজুড়ে বিশৃঙ্খলা কমবে বলে মনে করেন নগরবাসী। তাদের মতে, সরকারের পক্ষ থেকে অটোরিকশার লাইসেন্সের নিয়ম করে নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে চলাচল করার ব্যবস্থা করলে জনভোগান্তি ও বিশৃঙ্খলা কমবে।
শান্তিনগরের বাসিন্দা ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক মিলকি আমাতুল মুগনী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শহরজুড়ে খুব বিশৃঙ্খলভাবে চলাচল করছে অটোরিকশা। প্রতিনিয়ত এর কারণে ছোটখাটো অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এটাকে শৃঙ্খলায় ফেরানো প্রয়োজন। এর জন্য দরকার সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন। সরকারের উচিত এলাকাভিত্তিক সীমিত আকারে লাইসেন্স এর মাধ্যমে এই অটোরিকশা চলাচলের ব্যবস্থা করা।’
এদিকে অটোরিকশা একেবারে বন্ধ না করে, সঠিক পরিকল্পনা করে নির্দিষ্ট সড়কে চলাচল করার পরামর্শ নগরবিদদের। নগর পরিকল্পনাবিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘অটোরিকশা শহরজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এটা সত্যি। কিন্তু এর মাধ্যমে অনেকের জীবিকার একটা বিষয় রয়েছে। সেজন্য এটাকে একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে শৃঙ্খলা ফেরানো প্রয়োজন। আমরা যদি কোথাও অ্যালাউ করি সেটা কোথায় ও কেন করবো, তার রেজিস্ট্রেশন কী হবে এই একটা পুরো পরিকল্পনা দরকার।’
মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতার কারণে শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না। অটোরিকশাকে বিআরটিআই’র নিয়মের অধীন আনা জরুরি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অটোরিকশার চালকরা আইন মানতে চায় না। আইন সম্পর্কে অনেকে জানেও না। সবাই মিলে বসে একটা বাস্তব সিদ্ধান্তে আসলে আমার ধারণা এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’
সড়কে অটোরিকশার শৃঙ্খলা ফেরানোর বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এহসানুল হক বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বেপরোয়া চলাচল ট্রাফিক ব্যবস্থাকে চরম বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। এ যানবাহন এত বেড়েছে যে রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে এগুলোকে কয়েক দফা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেও বন্ধ করা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অটোরিকশাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে অনেক দিন ধরে বিভিন্ন পর্যায় থেকে নীতিমালা করার দাবি ছিল। আমরা একটি নীতিমালার খসড়া করেছি। বাস্তবতার নিরিখেই খসড়াটি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে খুব শিগ্গির তা চূড়ান্ত হবে। চূড়ান্ত নীতিমালাটি হলে ব্যাটারিচালিত রিকশার যে বিশৃঙ্খলা, তা কেটে যাবে বলে আমরা মনে করি।’
একনজরে অটোরিকশার নীতিমালার প্রস্তাবনা
অটোরিকশাকে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামোর আওতায় আনতে একটি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সেই নীতিমালার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, স্বল্প নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতাসম্পন্ন, ধীরগতির বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার দ্রুতগতিসম্পন্ন মোটরযানের সঙ্গে একই মহাসড়কে চলাচলের সময় গতির পার্থক্যের কারণে প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও সড়কের ধারণক্ষমতার তুলনায় বেশি সংখ্যক বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার চলাচল করায় অসহনীয় যানজট সৃষ্টি ও বিদ্যুতের অপচয় বাড়াচ্ছে।
খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিআরটিএ নির্ধারিত নমুনা অনুযায়ী বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার তৈরি হতে হবে এবং এর টাইপ বিআরটিএ অনুমোদিত হতে হবে। বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারে ব্যবহৃত দেশে তৈরি বৈদ্যুতিক মোটর, কন্ট্রোলার, গিয়ার বক্স, এক্সেল, হুইল রিম, ব্রেক, স্পিডো মিটার, হেডলাইট, শক অ্যাবজরভার, ব্যাটারি, চার্জার ইত্যাদি বিএসটিআই অনুমোদিত হতে হবে। তবে বিএসটিআই এ ধরনের মোটরযানের যন্ত্রাংশ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে।
অনুমোদিত মডেল বা বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারককে বিআরটিএ’র তালিকাভুক্ত হতে হবে জানিয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত না হয়ে কোনও প্রস্তুতকারী বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করতে পারবে না। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে এ ধরনের মোটরযান বা এর যন্ত্রাংশ বাজারজাত করতে হবে। বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী, উৎপাদনকারী অথবা সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধন নিতে হবে।
অটোরিকশার নিবন্ধন দেবে বিআরটিএ, সর্বোচ্চ গতিসীমা ৫০
সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির নির্ধারিত সংখ্যা অনুযায়ী বিআরটিএ মধ্যম ও স্বল্পগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা নিবন্ধন দেবে। তবে সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা, সড়ক নেটওয়ার্ক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। সীমা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের অনুমোদন নিতে হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ জাতীয় মোটরযান বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ধীরগতির অটোরিকশার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩.৯ মিটার, প্রস্থ ১.৫ মিটার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উচ্চতা ২.১ মিটার, সর্বোচ্চ ওজন (ব্যাটারিসহ) ৫০০ কেজি হবে। বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত হারে কর বা শুল্ক প্রযোজ্য হবে। এ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান চলাচলের ক্ষেত্রে নিবন্ধন সনদ, হালনাগাদ ফিটনেস সনদ, ট্যাক্স টোকেন আবশ্যক হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মধ্যম গতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা, মোটরক্যাব রিকশা ও অটোটেম্পো এবং থ্রি-হুইল ভ্যান সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। ধীরগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।
কোথায় চলাচল করতে পারবে, আইন অমান্যের শাস্তি কী?
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মধ্যম ও স্বল্পগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না। তবে মহাসড়কের সার্ভিস লেনে এ জাতীয় মোটরযান চলাচল করতে পারবে। মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য নির্দিষ্ট এলাকা বা রুটে এ জাতীয় মোটরযান চলাচল করতে পারবে।
বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে অটোরিকশা মোটরযান চলাচলের কোনও ধরনের ব্যত্যয় হলে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’-এ বর্ণিত অপরাধের ধরন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে। একইসঙ্গে চালকের বিআরটিএ ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নীতিমালায়। চালনার সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স অবশ্যই চালকের সঙ্গে থাকতে হবে।
বিদ্যমান অনিরাপদ ধীরগতির বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ‘ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচলসংক্রান্ত নীতিমালা, ২০২৩’ অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে স্বউদ্যোগে নিরাপদ মডেলের থ্রি-হুইলার মোটরযানে রূপান্তর করতে হবে। এ সময় পার হওয়ার পর অননুমোদিত মোটরযানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে নীতিমালায় বলা হয়েছে।
তবে অটোরিকশার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উন্নত গণপরিবহন নামানোর পরিবর্তে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিবন্ধনের যে প্রক্রিয়া নিয়েছে, তা শুরু হলে এক বছরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর অচল হয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকাসহ প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সরকারি উদ্যোগে পাতাল মেট্রোরেল এবং ডিজিটাল লেনদেনের ভিত্তিতে কমপক্ষে দুটি বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেন চালু করলে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমবে, মানুষের যাতায়াত সহজ হবে এবং দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।’ সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন