শাখাওয়াত মুকুল: চারদিকে অথৈ পানি। মেঘনা নদীর স্বচ্ছ পানির টলটল ঢেউ। ছায়ানিবিড় সুবাতাস, পাখীর কিচিরমিচির শব্দ। কৃত্রিম টিলায় ছাউনিতে হেলানো চেয়ারে বসে পশ্চিমাকাশে সূর্যাস্ত দেখা কিংবা নদীতে ডিঙ্গি নৌকায় জেলেদের মাছধরার দৃশ্য আর পালতোলা নৌকা চলতে দেখতে কার না ভাল লাগে।
এমনই নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক নিরিবিলি শান্ত পরিবেশে পরিবার সহ ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার কাছে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীতে জেগে ওঠা চরে পর্যটন কেন্দ্র স্বপ্নদ্বীপ থেকে। একেবারেই ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে ওঠে এই রিসোর্ট।
আড়াইহাজারের বিশনন্দী ফেরিঘাট থেকে ১০ মিনিটের ইঞ্জিনচালিত নৌকার দুরত্বের পথ স্বপ্নদ্বীপ পিকনিক স্পট এন্ড রিসোর্ট। এখানকার পরিবেশ যেন প্রকৃতির নিজ হাতেই তৈরি করা। এমন সাজানো গোছানো সুন্দর পরিবেশ দেখে কার না ভাল লাগে। একবারেই সাজানো গোছানো পরিপাটি প্রকৃতির নিদর্শন।
ইচ্ছে করলেই নদীর নানান ধরনের তাজা মাছ দিয়েও লাঞ্চ করতে পারবেন। দ্বীপের ভেতরে দুটি পুকুরে বা নদীতে নেমেও গোসল করতে পারবেন। পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বিয়ে, জন্মদিন, কিংবা পিকনিক করতে পারবেন এই দ্বীপে। খরচ সাধ্যের মধ্যেই থাকবে।
কিভাবে যাবেন:
ঢাকার গুলিস্তান ফ্লাইওভারের নিচ থেকে বিআরটিসি এসি চেয়ারকোচ আছে। সরাসরি আড়াইহাজার উপজেলা শহর হয়ে বিশনন্দি ফেরিঘাট যাবেন।
ভাড়া:
রাজধানীর গুলিস্তান থেকে জন প্রতি এসি চেয়ারকোচ টিকেট ১৬০ টাকা।
ননএসি চেয়ারকোচ, টিকেট ১০০টাকা। সময় লাগবে দেড় ঘন্টা।
এছাড়া, রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বিআরটিসি এসি বাস যায়। ভাড়া ১৬০টাকা। সময় লাগবে দেড় ঘন্টা।
বিশনন্দী ফেরিঘাট নেমে ইঞ্জিনচালিত নৌকা ৩৫০-৪০০টাকা রিজার্ভ নিতে পারবেন। অবশ্যই কথা বলে নিতে হবে কতক্ষণ থাকবেন দ্বীপে।
বিশ্রাম করবেন :
এই দ্বীপে তিনটি কটেজ আছে। আছে দুইটি রেস্টুরেন্ট। তবে রাত যাপনরে জন্য থাকার ব্যবস্থা নাই।
যদি দিনে গিয়ে চলে আসেন তাহলে ওখানে খাবারের জন্য আগে থেকে যোগাযোগ করে অর্ডার করতে হবে।
খেতে না চাইলে বিশনন্দী ফেরিঘাটে ফিরে এসে হোটেলে খেয়ে নিতে পারবেন।
রিসোর্টে প্রবেশ ফি:
জনপ্রতি ৩০টাকা।