মনিরুল ইসলাম: বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেছেন, দেশের নদ-নদীর মালিক জনগণ, জনগণকেই তা রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে। আমাদের শপথ নিতে হবে, আমরা নদ-নদী দখল ও দূষণ করবো না, অন্য কাউকে দখল-দূষণ করতে দিবো না। তবেই সারাদেশের নদ-নদী রক্ষা পাবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল এইভাবেই নদ-নদী রক্ষার আহ্বান জানান
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) ‘পরিবেশ সুরক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার মাহমুদকাটি গ্রামে অনির্বাণ লাইব্রেরি মিলনায়তনে ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ এবং সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন আয়োজিত সভায় ভার্চুয়ালী অংশ নেন তিনি।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র-এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, অনির্বাণ লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ, সচেতন সংস্থার সভাপতি বিদ্যুৎ বিশ্বাস, উন্নয়নকর্মী দুলাল দেবনাথ, ছাত্র নেতা সৌমিত্র সৌরভ, অনির্বাণ ছাত্র সংসদের সাবেক সভাপতি গৌতম মণ্ডল ও বর্তমান সভাপতি আন্দোলন ভদ্র, সাংবাদিক রিয়াদ হোসেন, পরিবেশকর্মী আলাউদ্দিন গাজী, শিক্ষার্থী কুসুম চন্দ, বৃষ্টি ঘোষ ও আকাশ ভদ্র।
সভায় বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, করোনাকালে আমরা অক্সিজেনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সকলেই অনুভব করেছি। গাছপালা থেকে আমরা বিনামূল্যে এই অক্সিজেন পেয়ে থাকি। একজন মানুষ প্রতিদিন প্রকৃতি থেকে অন্ততঃ ৫ হাজার টাকার অক্সিজেন নিয়ে থাকে। প্রাকৃতিক অক্সিজেনের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। গাছ লাগানোর শপথ গ্রহণের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় বক্তারা কপোতাক্ষ-শিবসাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের অন্যান্য নদ-নদী খনন ও উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, কপোতাক্ষ নদের প্রবাহ স্বাভাবিক না রাখতে পারলে সাতক্ষীরা, খুলনা, যাশোর ও ঝিনাইদহ জেলার কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকায় বিপর্যয় নেমে আসবে। তাই সরকার জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকার ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু ওই প্রকল্পের তালার উপজেলার বালিয়া থেকে পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা পর্যন্ত খনন এখনো শুরু হয়নি। নদী ভাঙ্গন ও জলাবদ্ধতা থেকে কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষকে রক্ষায় প্রকল্পটির দ্রুত শেষ করার দাবি জানান তারা।
আলোচনা সভা শেষে বজ্রপাত থেকে রক্ষায় তাল গাছের বীজ রোপন কর্মসূচীর উদ্বোধন করা হয়। অনির্বাণ লাইব্রেরি চত্বরে এই কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যামিনী সরকার ও বৃক্ষ প্রেমিক সিদ্দিক গাজী। তারা এই কর্মসূচী সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :