শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে পায়রা, বিষখালী, বলেশ্বর ও হরিণঘাটা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া খাকদোন, টিয়াখালী নদী, টিয়াখালী দোন, বগীর খাল, বেহুলা নদী, নিদ্রা খালসহ জেলার প্রধান নদী ও খালের এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে।
[৩] কিছু কিছু এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করেছে। নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার ( ২৬ মে) বিকেলে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক মো. মাহাতাব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
[৪] তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বরগুনার পায়রা, বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার জোয়ারের উচ্চতা ছিল ২ দশমিক ৬৪ মিটার। যা বিপদসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপরে।
[৫] এদিকে জোয়ারের পানি বাড়ায় প্লাবিত হয়েছে জেলার নিম্নাঞ্চল। ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে গেছে। তলিয়ে গেছে মাছের ঘের। রাস্তা ঘাটে কোমর সমান পানি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ। কুমড়াখালী, আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া গ্রামে বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে পুরো গ্রাম। ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষণে ক্ষণে শক্তি বাড়িয়ে আগ্রাসী রূপ ধারণ করছে ঘূর্ণিঝড়টি। নদীর পানি বেড়ে উপকূল ছাপিয়ে ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। ভেঙেছে বাঁধ।
[৬] অন্যদিকে, বরগুনা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে দোকানের মালামাল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেড়িবাঁধের বাইরে সরকারি আবাসনসহ বরগুনায় তিনটি ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে করে দুপাড়ের পণ্যবাহী গাড়িসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি শিকার হচ্ছে।
[৭] বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য বিভাগের হিসেব অনুযায়ী বরগুনায় বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৩০০টি প্রাকৃতিক খাল রয়েছে। এ জেলায় মোট ১৬০ বর্গ কিলোমিটার নদী রয়েছে যা জেলার মোট আয়তনের ২২ ভাগ।
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :