জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর: [২] উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তার কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীর উপকূলীয় এলাকার লোকজন সর্তক করে মাইকিং করা হচ্ছে।
[৩] রোববার (২৬ মে) সকাল থেকে উপজেলার বড়খেরী এলাকার বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করছে বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। একই বার্তা দিয়েছে মজু চৌধুরী হাট নৌ-পুলিশ। রামগতি এলাকাটি বঙ্গোপসাগরের খুব কাছাকাছি হওয়ায় যে কোন ঝড়ের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
[৪] এদিকে সকল ধরনের নৌ-যান চলাচল বন্ধ থাকায় লক্ষ্মীপুর সদরের মজু চৌধুরী হাট এলাকায় ভোলা-বরিশালঘামী কয়েকশ যাত্রী আটকা পড়েছে। এখনো তারা লঞ্চ ঘাটেই অপেক্ষা করছে। এসব যাত্রীরা তাদের বিড়ম্বনার কথাও জানান।
[৫] বড়খেরী নৌ-পুলিশের ইনচার্জ (পরিদর্শক) ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' এর ক্ষতির হাত হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে মাইকিং করেছি। উপকূলীয় মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় নৌ-পুলিশ কাজ করছে।
[৬] উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরকে ৯ নম্বর মহা বিপ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে জেলার উপকূলীয় এলাকার মানুষসহ গবাদিপশু রক্ষায় লক্ষ্মীপুরে ১৮৯ টি স্থায়ী ও অস্থায়ী সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড়কালীন মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ৬৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
[৭] শনিবার (২৫ মে) রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমটির প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানান। সভায় জানানো হয়, দুর্যোগকালীন ত্রাণ তহবিলে ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৪৫০ মেট্টিক টন চাল রয়েছে। দুর্যোগ থেকে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণী রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে। সম্পদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :