শিরোনাম
◈ অর্থনৈতিক সংকটে সিংহভাগ মানুষ কোরবানি দিতে পারেনি: জিএম কাদের ◈ সুপার এইটে স্থান, ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন ◈ ফিলিস্তিনসহ সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ শাসকগোষ্ঠী উল্লাসের ঈদ করছে আর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় চলছে শোকের মাতম: রিজভী  ◈ কারাগারে গরু ও খাসি কোরবানি, বন্দিদের বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা ◈ দেশবাসীকে ভয়ভীতি কোরবানি দেওয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের ◈ এবারের ঈদ দেশের মানুষের কাছে একটা কষ্টের দিন: মির্জা ফখরুল ◈ ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর ◈ ভারতে ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়ায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ১১টি বাড়ি ◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৫০ বছরের পেট্রোডলার চুক্তি বাতিল করল সৌদি আরব

প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০২৪, ০৪:২৯ দুপুর
আপডেট : ২৬ মে, ২০২৪, ০৪:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পেলেই পাহাড়ি অঞ্চলে গাছ কাটার মহোৎসব

শাহাদাত হোসেন, রাউজান (চট্টগ্রাম): [২] ঘূর্ণিঝড়ের সংকেত পেলেই চট্টগ্রামের রাউজানের হলদিয়া পাহাড়ী অঞ্চলে গাছ কাটার মহোৎসব শুরু হয়। গত কয়েকদিন আগে থেকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তথ্য পেয়ে রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে পাহাড়ী গাছ কাটার মহোৎসব শুরু হয়েছে। 

[৩] পাহাড়-টিলা বেষ্টিত হলদিয়া ইউনিয়নের প্রতিটি পাহাড় টিলায় চোখে পড়ে নানা প্রজাতির গাছ। সরকারি বন বিভাগের মালিকানাধীন পাহাড় থেকে গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খোদ হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ আহমেদ ওরফে ফিরোজ মেম্বার। 

[৪] সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, হলদিয়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের আইলীখীল এলাকার পৃথক তিনটি স্থানে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ। নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে একদিকে পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে। অন্যদিকে আশ্রয়স্থল হারাচ্ছে পশু-পাখি, কীটপতঙ্গ। তাই এখন আর দেখা মিলছে না শিয়াল, বেজি, খরগোশ, কাঠবিড়ালি, বানর, হনুমান, চিল, শকুন, ডাহুক, বাবুই, চড়ুইসহ আরও অনেক পশুপাখি। 

[৫] অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. ফিরোজ বলেন, ‘জায়গাটি রাউজান রাবার বাগানের। বাগান কর্তৃপক্ষ ১৫-২০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তাই যারা গাছগুলো রোপণ করেছিলেন তারা কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় দেখায় আমি কয়েকটি গাছ কিনে নিয়েছি। আমার কাছে ফার্ণিসারের তৈরির দোকান থাকায় ক্রয় করেছি।’ 

[৬] গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘গাছগুলো কাটার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করেছি। এছাড়া ফরেস্ট অফিসারকে ৪ হাজার টাকা দিয়ে আমরা গাছ কাটছি।’ বন বিভাগ বা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শত শত গাছ কেটে নিলেও কারও কোনো মাথা ব্যাথা নেই। 

[৭] তবে স্থানীয়  পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় গাছ কাটা বন্ধ করতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

[৮] রাউজান উপজেলা বন কর্মকর্তা উজ্জ্বল কান্তি মজুমদার বলেন, সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। চেয়ারম্যানসহ তদন্ত করে মালিকানাধীন টিলা হওয়ায় আমি ফিরে আসি। আমাকে চার হাজার টাকা দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। গাছ কাটার স্থান থেকে কিছু পূর্বে স্থানীয় মেম্বার মো. ফিরোজ সরকারি বন বিভাগের মালিকানাধীন পাহাড় থেকে গাছ কাটার বিষয়ে আমাকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা কেউ সংবাদ দেয়নি। সম্পদনা: এ আর শাকিল

প্রতিনিধি/এআরএস

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়