শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০৪:০০ দুপুর
আপডেট : ৩১ মার্চ, ২০২৩, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি 

জবি ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হকারদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ 

অপূর্ব চৌধুরী, জবি: পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক ও সদরঘাট এলাকার ফুটপাতের হকারদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে এ বিষয়ে গত বুধবার (২৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন। তবে জবি শাখা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের দাবি কোন প্রমাণ ছাড়া এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে সেই দায়ভার তাদের না। 

বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির ও সাধারণ সম্পাদক হযরত আলীর স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক থেকে সদরঘাট ফ্লাইভার পর্যন্ত এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে হকারি করে প্রায় শতাধিক লোক জীবিকা নির্বাহ করে। 
প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টায় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ পরিচয়ে পর্যায়ক্রমে দুইবার দল বেঁধে হকারদের নিকট থেকে অর্থ উত্তোলন করা হয়। 

চলমান এই জুলুম-নির্যাতন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে চিঠিতে আরও বলা হয়, কোনো হকার দাবিকৃত অংকের টাকা দিতে অপারগ হলে তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। গত চার মাস থেকে এই অত্যাচার চলছে। বিভিন্ন জায়গায় বলেও হকারদের এই সংকটের সুরাহা করা সম্ভব হয়নি।

বাহাদুর শাহ পার্ক ও সদরঘাট এলাকার হকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন দোকান প্রতি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা চাঁদা নেওয়া হয়। এভাবে ওই এলাকায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি দোকান থেকে মাসে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা চাঁদা নেয় ছাত্রলীগ। 

নাম না প্রকাশের শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কিছু কর্মীদের কাছে দোকানগুলো ইজারা দিয়ে দিয়েছে। সভাপতি- সেক্রেটারি এখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নেন। আর কর্মীরা যা বেশি তুলতে পারেন নিজেরা রাখেন। এজন্য এখন আমাদের ওপর বেশি অত্যাচার হয়। এক বা দুইজন টাকা চাইতে আসে, আর বাকিরা দল ধরে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। যখন যত ইচ্ছা টাকা দাবি করেন, না দিলে মারধরও করে।

বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হকারদের ওপর এভাবে জুলুম করা হচ্ছে। বিষয়টি জানানোর জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি-সেক্রেটারিকে অনেকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেনি। এরপর গত ১৫ দিন আগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতিকে বিষয়টি জানালে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। কিন্তু এখনও আমরা কোনো প্রতিকার পাইনি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছি। 

সংগঠনটির সভাপতি আব্দুল হাশিম কবির বলেন, কিছুদিন আগে সদরঘাট এলাকায় আমরা একটা প্রোগ্রাম করি। সেখানে ওই এলাকার হকার্সরা আমাদেরকে বিষয়টি জানায়। আমরা বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে জমা দিয়েছি। 

তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, কেউ যদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা তুলে তাহলে এর দায়ভার আমরা নিব না। ক্যাম্পাসের আশেপাশে আমাদের কোনো কর্মী চাঁদাবাজি করে না, আর ছাত্রলীগে চাঁদাবাজদের কোনো জায়গা নেই।

সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, একটা অভিযোগ দিয়ে চিঠি দিয়ে দিলেই হলো নাকি? কোন প্রমাণ নেই। এসব মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে শুধু ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। আর তারা যদি আমাদের কারও প্রতি চাঁদাবাজির প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিব।

প্রতিনিধি/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়