সুজন কৈরী: [২] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, এই সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে, ছাত্রদের মুক্তি দিতে হবে। কারফিউ উঠিয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।
[৩] শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ছাত্র জনতা হত্যা’র প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যারা সহিংসতা চালাতে চায় তাদের ব্যাপারে সাবধানে থাকতে হবে।
[৪] সরকার এবং দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠী চক্রান্তের চেষ্টা করছে। এ থেকে সাবধান থাকতে হবে। দেশের তিন বছরের বাচ্চা থেকে শ্রমজীবী, পেশাজীবী সবার উপর আক্রমণ আসছে। জমিন থেকে আক্রমণ আসছে, আকাশ থেকে আক্রমণ আসছে। গুলিতে প্রায় তিন শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। যারা নিহত হয়েছেন তাদের মা-বাবারা হাহাকার করছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
[৫] তিনি বলেন, আমরা ৫২ এর পর থেকে অনেক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি, কিন্তু মাত্র কয়েকদিনে এই জুলাইয়ে যে হত্যাযজ্ঞ হয়েছে তা কেউ করেনি, এতো রক্তপাত কেউ করেনি। সরকার ভেবেছিল এরকম নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালালে আন্দোলন দমে যাবে। কিন্তু প্রতিবাদ আরও বেড়েছে।
[৬] শিক্ষক অভিভাবক নাগরিক সমাজ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন মুক্ত বাংলাদেশের জন্য লড়াই করছে। এই মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, এই দখলদারের কাছ দেশ থেকে রক্ষা করতে হবে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :