শিরোনাম
◈ দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম, আজ থেকে নতুন দরে বিক্রি ◈ সকাল ৬টায় ঢাকায় ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত ◈ গভীর রাতে নোয়াখালীর সোনাপুরে বিআরটিসি ডিপোতে ২ বাসে আগুন ◈ খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উৎকণ্ঠা—এভারকেয়ারে নজর সবার ◈ প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে বাড়তি খরচ কমাতে নতুন ছক চালু করল বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ ১০ মাস পর প্রার্থী পরিবর্তন: খুলনা-১ এ জামায়াতের টিকিট পেলেন কৃষ্ণ নন্দী ◈ খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এভারকেয়ারে ◈ উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে যুক্ত করতে পে-প্যালের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে: গভর্নর ◈ 'স্বেচ্ছা নির্বাসনে' যুক্তরাষ্ট্র ছেড়েছে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ◈ স্কুলে ভর্তির নীতিমালা সংশোধন, বয়সসীমা শিথিল করল মাউশি, রেজিস্ট্রেশনের বয়সে কঠোর বোর্ড

প্রকাশিত : ১৮ মে, ২০২৪, ০৭:৩৯ বিকাল
আপডেট : ১৮ মে, ২০২৪, ০৭:৩৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুষ্টিয়ার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী তিনজন, শিক্ষক চারজন

ফয়সাল চৌধুরী, কুষ্টিয়া: [২] কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের হাবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র তিনজন। শিক্ষার্থীদের পড়ানোর জন্য শিক্ষক রয়েছেন মোট চারজন। প্রতিদিন একজন বা দুইজন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। চার শিক্ষকের মধ্যে তিনজনই বেশিরভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন।

[৩] জানা গেছে, ২০১৩-১৪ সালে ‘১৫০ বিদ্যালয়’ নামে একটি প্রকল্পের আওতায় ২০ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে এলজিইডি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৪ সাল থেকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বিদ্যালয়টি। শুরুর দিকে অনেক শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে প্রায় শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। বিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন ৪ জন শিক্ষক। শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে একজন বা দুইজন!

[৪] গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা সোয়া ১১টায় দিকে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা গেছে, শ্রেণিকক্ষ গুলোর দরজায় তালা ঝুলছে। স্কুলে একজন শিক্ষক এবং একজন শিক্ষার্থী উপস্থিত আছেন। অপর তিনজন শিক্ষক ও দুজন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত। শিক্ষকদের অফিস রুমে বসে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোখসানা খাতুন দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সোহানকে পড়াচ্ছেন।

[৫] দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সোহান বলে, আগে আমার বন্ধু এখানে পড়ত, এখন নেই। দ্বিতীয় শ্রেণিতে আমি একা পড়ি। আগে বন্ধুদের সঙ্গে পড়তে ভালো লাগত। এখন একা একা ভালো লাগে না।

[৬] এই বিদ্যালয়ের চার শিক্ষক হলেন- রোকসানা খাতুন, সাদিয়া খাতুন, ফিরোজা খাতুন ও শাহিদা খাতুন। তারা সবাই সহকারী শিক্ষক। তবে রোকসানা খাতুন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।

[৭] এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোখসানা খাতুন বলেন, আমি ২০১৮ সালে এই স্কুলে যোগদান করি। তখন ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী ছিল। আস্তে আস্তে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যায়। এখন তিনজন ছাত্র আছে। আমিসহ মোট চারজন শিক্ষক এই স্কুলে দায়িত্ব পালন করছি।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়