শিরোনাম
◈ কমপ্লিট শাটডাউন প্রত্যাহার, ২ দিন পর বেনাপোল বন্দর সচল ◈ শ্বাসরুদ্ধকর নীলফামারিতে ঘটে যাওয়া ৩১ ঘন্টা! ◈ স্বাগ‌তিক মিয়ানমারের বিরু‌দ্ধেও দুর্দান্ত পারফর্ম করতে চান তহুরা ◈ ব্রা‌জি‌লের ফ্ল্যামেঙ্গোকে বিদায় করে ক্লাব বিশ্বকা‌পের কোয়ার্টার ফাইনা‌লে বায়ার্ন মিউ‌নিখ ◈ আন্দোলন প্রত্যাহার, কাজে ফিরলেন এনবিআর কর্মকর্তারা ◈ দেশের রাজ‌নৈ‌তিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সাকিবকে দলে নেয়নি রংপুর রাইডার্স ◈ বিপিএলের আগামী আস‌রের জন্য ৬ বিদেশি ক্রিকেটার দলে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল ◈ আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল ◈ ৩০ জুন সোমবার বাংলাদেশি টাকায় বিভিন্ন দেশের মুদ্রা বিনিময় হার  ◈ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭২, খাদ্যের জন্য অপেক্ষমাণ ত্রাণপ্রার্থীরাও রক্ষা পাননি

প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২৩, ১১:২৬ দুপুর
আপডেট : ০৩ জুলাই, ২০২৩, ১২:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাঁচা মরিচের বাজারে আগুন, দিশেহারা সাধারণ মানুষ

সনতচক্রবর্ত্তী: ফরিদপুর জেলার কাঁচা মরিচের দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জেলার বিভিন্ন বাজার ও কাঁচা মরিচের প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। দাম বৃদ্ধির কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে ২০০ টাকার কম কেজি ধরে বিক্রি হয়েছে।  হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের এমন  দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।

রোববার (২ জুলাই) জেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধিতে জেলার বিভিন্ন গ্রামের বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায় এবং জেলার কাঁচা বাজারে মরিচ বেচা-বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। 

ক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিন আগেও ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। ঈদের আগে সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা। বিক্রেতারা বলছেন, বছরের শুরুতে প্রচণ্ড খরা, এখন অধিক বৃষ্টির কারণে ফলন বিপর্যয়ে উৎপাদন কম হওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে।

সকালে জেলার ঠাকুরপুর মোড় বাজারে গিয়ে কথা হয় ক্রেতা রিজাউল সেখের সঙ্গে। তিনি জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম শুনলে কেনার সাধ মিটে যায়। আগে যেখানে ২০ টাকার মরিচ কিনলে আড়াইশ গ্রাম পেতাম, সেখানে এখন ১৫০ টাকা দিয়ে আড়াইশ গ্রাম নিতে হচ্ছে। বাজারে সব থেকে এখন দামি পণ্য কাঁচা মরিচ।

পাশেই দাঁড়ানো মঞ্জুর হোসেন বলেন, কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেশি। প্রয়োজনে কাঁচা মরিচ ছাড়াই রান্না হবে। এত দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কেনা আমাদের মতো নিম্ন  আয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। পরে তিনি কাঁচা মরিচ ছাড়া বাকি তরিতরকারি নিয়ে চলে যান।

উপজেলার বোয়ালমারী বাজারে কয়েকজন কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে মরিচের চাষ কম হওয়ায় এবং চাহিদা অনুযায়ী বাইরে থেকে আমদানি কম হওয়ায় কাঁচা মরিচের বাজার এতটা বেড়ে গেছে। তারা আরো জানান, মাগুড়া,রাজবাড়ী গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার  নানা স্থান থেকে আমরা কাঁচা মরিচ আমদানি করে থাকি। এখন আর আমদানি করাও সম্ভব হচ্ছে না। সেখানেই দাম বেশি। মরিচের সিজন শেষ পর্যায়ে। এ সময় এমনিতেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা কাঁচা বাজারের সামনে কথা হয় বাজার করতে আসা রিপন সিকদারের সাথে তিনি বলেন, মরিচের কেজি প্রায় ৪০০ টাকা। সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম উর্ধ্বমুখি। এভাবে সকল পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক তাদের বাজার করে খেয়ে বেঁচে থাকার মত অবস্থা নেই।

জেলার কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীর মতে, এই সময় প্রতি বছর মরিচের  দাম কম থাকে। অথচ এবার চিত্র ঠিক তার উল্টো। ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের পকেট খালি করার জন্য যে যার ইচ্ছেমতো জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। এই সব বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

প্রতিনিধি/এসএ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়