শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২৫, ০৬:২৩ বিকাল
আপডেট : ০৪ মে, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এপ্রিলে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স

মনজুর এ আজিজ : এপ্রিলে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৭৫ কোটি মার্কিন ডলার রেমিটেন্স, যা একক মাস হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছরের একই মাসের তুলনায় এই আয় বেড়েছে ৭১ কোটি ডলার বা ৩৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যে এসব তথ্য জানা গেছে।

রেমিটেন্স প্রবাহে এ প্রবৃদ্ধির ফলে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশে পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৪ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ৯১২ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রেমিটেন্স বেড়েছে ৫৪২ কোটি ডলার বা ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে গত মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার। এর পরেই রয়েছে এপ্রিলের ২৭৫ কোটি এবং গত ডিসেম্বর মাসের ২৬৪ কোটি ডলার।

রেমিটেন্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ে রয়েছে ১১ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি। এর প্রভাবে দীর্ঘ ২০ মাস পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালের আগস্টে সর্বশেষ রিজার্ভ ছিল ২৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা পরের মাসে কমে ২১ দশমিক ০৫ বিলিয়নে নেমে আসে। এরপর থেকে তা আর ২২ বিলিয়নের ঘরে পৌঁছায়নি।

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ছিল ২০২২ সালের আগস্টে, ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে প্রতি মাসে কমতে কমতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে তা ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়নে নেমে গিয়েছিল।

ব্যাংকারদের মতে, রেমিটেন্স ও রপ্তানি প্রবাহের উন্নতির ফলে বর্তমানে দেশে ডলারের সংকট নেই। বিগত সরকারের সময় যেখানে এক ডলার কিনতে ১২৭ টাকা পর্যন্ত গুনতে হতো, এখন তা দীর্ঘ সময় ধরে ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। ফলে আমদানি, বিদেশ ভ্রমণসহ বিভিন্ন খাতে পূর্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমদানি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। যদিও একই সময়ে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ কিছুটা কমেছে এবং সরকার পরিবর্তনের পর থেকে আইএমএফের ঋণের কোনো কিস্তি আসেনি, তবুও রেমিটেন্স ও রপ্তানির ইতিবাচক ধারায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য স্বস্তিদায়ক বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাদের মতে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে অর্থনীতির সূচকে অনেক এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়