শিরোনাম
◈ গরুর চামড়া ৮০০, ছাগলের ১০ টাকা ◈ সিলেটে ঈদ আনন্দ ভেসে গেল বন্যার জলে ◈ অর্থনৈতিক সংকটে সিংহভাগ মানুষ কোরবানি দিতে পারেনি: জিএম কাদের ◈ সুপার এইটে স্থান, ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন ◈ ফিলিস্তিনসহ সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ শাসকগোষ্ঠী উল্লাসের ঈদ করছে আর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় চলছে শোকের মাতম: রিজভী  ◈ কারাগারে গরু ও খাসি কোরবানি, বন্দিদের বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা ◈ দেশবাসীকে ভয়ভীতি কোরবানি দেওয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের ◈ এবারের ঈদ দেশের মানুষের কাছে একটা কষ্টের দিন: মির্জা ফখরুল ◈ ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত : ২৬ মে, ২০২৪, ০৮:৫৮ রাত
আপডেট : ২৬ মে, ২০২৪, ০৮:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাজেটে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি রিজার্ভ ও রাজস্ব আদায়: অর্থমন্ত্রী 

সোহেল রহমান: [২] তিনি বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে, অনেক বাধা আছে... সেগুলো অতিক্রম করতে হবে। আগামী বাজেটে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলোর কাজ হচ্ছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি আগে ছিল, এখন আর নেই। আমরা সঠিক ট্র্যাকে আছি। আস্তে আস্তে অন্য বাধাগুলোও থাকবে না। 

[৩] রোববার সচিবালয়ে ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর নির্বাহী পরিচালক ড. কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ান-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

[৪] সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন যে, দেশের অর্থনীতি দুর্যোগের মধ্যে পড়েছেÑ এটা কি আপনি স্বীকার করেন? জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, আমি বুঝলাম না। বিরুদ্ধে বললেই কি সে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল? আসলে তারা তো বিরোধী পক্ষের লোক। কিছুই হয়নি, সব নষ্ট হয়ে গেছে... এগুলো কী?

[৫] তাহলে সরকারবিরোধী কথা বললেই কি কেউ বিরোধীপক্ষ হয়ে যাবেÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না, তবে তার টোনটা দেখতে হবে। কেউ কিছু বললেই দেশের অর্থনীতি শেষ হয়ে যাবে?

[৬] আগামী বাজেটে সরকারের প্রাধান্যের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছেÑ অর্থনীতিকে অন ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা। একই সঙ্গে নিত্যপণ্য যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেটা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মানও যেন সীমার মধ্যে থাকে। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণকে যে ইশতেহার দিয়েছিল, সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আগামী বাজেটে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে। সার্বিকভাবে বর্তমান সরকার যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলÑ সেটির একটা প্রতিফলন এবং একইসঙ্গে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খার একটি প্রতিফলন বা প্রতিচ্ছবি আগামী বাজেটে দেখা যাবে।

[৭] আগামী বাজেট ‘সংকোচনমূলক’ হবে কি নাÑ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংকোচনমূলক তো ইতোমধ্যে হয়েছে। ওটা পার হয়ে যাচ্ছি আমরা। সংকোচন থেকে আমরা ফেরত আসব। কীভাবে এক্সপ্যানশন করা যায়, সে চেষ্টা করছি। এই বাজেট থেকেই সে চেষ্টা করব।

[৮] আগামী বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়বে কি নাÑ জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা বাড়ানো হবে, দেখতে পারবেন বলে আশা করছি। তবে এটাতো একটা প্রসেসের মধ্যে আছে। এখন বলা যাবে না।

[৯] আইএমএফ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী জুনেই আইএমএফ-এর ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়া যাবে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডলারের প্রবাহটা বাড়ানো যায়। এখানে অনেক নেগোসিয়েশন আছে। আশা করছি, এই সমস্যাটি আমরা সমাধান করতে পারব। আমরা কাজ করছি।

[১০] আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, আইএমএফ-এর নির্বাহী পরিচালক বলেছেন যে, সরকার সঠিক পথে আছে। সমস্যা সমাধানে সরকার যে কাজ করছে, এতে তাদের সমর্থন রয়েছে।

[১১] আইএমএফ প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। আমরা সে অনুযায়ী ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। আমি ঋণ খেলাপিদের ধরতে চাই।

[১২] ঋণ খেলাপিরা অনেক শক্তিশালী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন কি নাÑ সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেখা যাক্, পারা যায় কি না। 

[১৩] প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, সাবেক পুলিশপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তার কি ক্ষমতা কম ছিল? সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজির আহমেদ-এর বিরুদ্ধে আদালত যে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তাতে সরকারের সমর্থন রয়েছে। এছাড়া সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ-এর বিরুদ্ধে কোনো নিয়ম-দুর্নীতির তথ্য থাকলে, তার বিচার সেনাবাহিনী করবে। 

[১৪] উল্লেখ্য, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ-এর ৮৩টি দলিলে থাকা সকল সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার ২৭টি ব্যাংক হিসাবসহ আর্থিক লেনদেনকারী মোট ৩৩টি হিসাব জব্দ থাকবে। বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদ জব্দের আদেশ চেয়ে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।

[১৫] কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন তুলে অর্থমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে কোন্ দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকতে পারেন? 

[১৬] তাহলে কি সাংবাদিকরা আর বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢুকতে পারবেন নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  সেটা তো আমি বলতে পারবো না।

[১৭] অন্য দেশে যেকোনো তথ্য ওয়েবসাইটে দেয়া হয়, যা আমাদের এখানে দেয়া হয় না। তাহলে অন্য দেশের রেফারেন্স কেন দেয়া হচ্ছেÑ সাংবাদিকদের এমন কথার জবাব এড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, গভর্নর তো আলাদা কিছু না, গভর্নর গোটা সরকারেরই একটা অংশ। এর আগে ঊনি অর্থসচিব ছিলেন। কিছু পত্রিকায় বলা হয়েছে, ঊনি দায়িত্বজ্ঞানহীন, ওনার কোনো আইডিয়া নাই! এমনি এমনিই অর্থসচিব হয়েছেন। এখন তো বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। উনি বলেছেন, পৃথিবীতে কোথাও এভাবে ঢুকতে দেয় নাকি? সব খুলে দেয়? ওখানে ওদের লোক আছে, মুখপাত্র আছে। এগুলো আছে তো। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়