শিরোনাম
◈ আবারও শাহবাগ অবরোধ করেছেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আহতরা ◈ গেজেট প্রকাশের পরই আ. লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি ◈ লড়াই রা‌তে, জিত‌লে বা‌র্সেলোনা চ্যাম্পিয়ন ◈ পরিবারে মা হচ্ছেন এক বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান, খালেদা জিয়াকে নিয়ে আবেগঘন বার্তা তারেক রহমানের ◈ পাকিস্তানের শক্ত জবাবেই যুদ্ধবিরতি করতে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বারস্থ হয় ভারতঃ সিএনএনের সাংবাদিক (ভিডিও) ◈ মেসির গোলে কাজ হয়‌নি, বড় ব্যাবধা‌নে হে‌রে গে‌লো ইন্টার মায়ামি ◈ জনরোষ ঠেকাতে লুঙ্গি-গেঞ্জি-মাস্ক পরে বিমানবন্দরে যান আবদুল হামিদ, গোপনে তুলে দেওয়া হয় বিমানে ◈ রেকর্ড হ্যাটট্রিকসহ সরলথের চার গোল, জিত‌লো অ্যাথ‌লে‌তি‌কো মা‌দ্রিদ ◈ আরব আমিরাতের বিরু‌দ্ধে দুই ম‌্যা‌চের ‌টি- টো‌য়ে‌ন্টি খেল‌বে বাংলাদেশ  ◈ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় চীনা জে-১০সি জেটের উত্থান: রাফায়েল ভূপাতিত, বিশ্বজুড়ে চীনা অস্ত্রপ্রযুক্তির চাহিদা বৃদ্ধি

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:২৭ বিকাল
আপডেট : ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩, ০৫:২৭ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পরকীয়ার জেরে দুই শিশুকে খুন

কুমিল্লায় এক নারীকে মৃত্যুদন্ড আরেকজনকে যাবজ্জীবন

শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা: কুমিল্লায় পরকীয়ার জেরে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে মৃত্যুদন্ড এবং অপর নারীকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়। 

মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের মো. বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮) কে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগম (৪৩) কে যাবজ্জীবন দেয়া হয়। তারা সর্ম্পকে চাচি শাশুড়ী এবং ভাতিজা বউ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত দুই নারী উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে এই রায় দেন। 

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী মো. বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৮) পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে ভুট্টক্ষেতে নিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের ছেলে আরাফাত (৬) কে খুন করেন। ঠিক ওই সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষন পর শাহ আলমের ছেলে জসিম (৭) কেও ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে খালে ডুবিয়ে দেয়।

পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়ামিন আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ইয়াছমিন আক্তারকে সহযোগীতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামী মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে।

গত বছর র‌্যাব-১১ মাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ওই বছরের ২১ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিনকে ১নম্বর এবং মাজেদা বেগমকে ২নম্বর ও অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে নিহত আরাফাতের পিতা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক ইয়ামিনকে মৃত্যুদন্ড এবং মাজেদাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। সম্পাদনা: অনিক কর্মকার

প্রতিনিধি/একে/একে

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়