আব্দুল্লাহ আল আমীন: নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার মহিষবেড় গ্রামের সখিনা বেগম (৪০) স্বামী রাজমিস্ত্রী শাহজাহান মিয়ার স্ত্রী গার্মেন্টস কর্মীর সাথে পানের আড়ৎ কর্মচারী বাবুল মিয়ার সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
প্রেমের সম্পর্ক সখিনার স্বামী জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবুল মিয়াকে হত্যা করার জন্য সখিনাকে চাপ প্রয়োগ করে স্বামী শাহজাহান। উভয়ের পরামর্শে সখিনা গত ২৪ আগষ্ট রাত সাড়ে ১১ টায় ঢাকা থেকে তারাকান্দা থানার বিসকা ইউনিয়নের খিচা নামক স্থানে ও শাহজাহান নেত্রকোনা পূর্বধলার থানার মহিষবেড় এলাকায় অবস্থান করে। সখিনা বেগম বাবুল মিয়াকে ফোনে ডেকে এনে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অপহরন করে সিএনজি যোগে রাত সাড়ে ১২ টায় রওনা করে রাত পৌনে ২ টার দিকে সখিনার বাড়ির কাছে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায় এবং ২৫ আগষ্ট রাত আড়াইটার দিকে হাত দিয়ে গলায় চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সিদলা বিলের পাশে মাটি চাপা দিয়ে রাখে।
এ বিষয়ে তারাকান্দা থানায় নিহতের ছেলে একটি জিডি করে। এসআই শাহাদত আলম খান জিডির সুত্র ধরে দ্রুত অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল পনে ৬ টার দিকে ভিকটিম বাবুল মিয়ার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
অপর আরেক ঘটনায়, সদর চুরখাই মির্জা পার্কের পূর্ব পাশের পুকুরে অজ্ঞতানামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তিতে জানা যায় নিহত তানজিল মিয়া (২৫) ফুলপুর থানা ধলী গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে পেশায় একজন চোর। চুরির মাল ভাগাভাগির কারনে তার সহযোগী শরীফ মিয়া গত ৩ সেপ্টেম্বর তাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়।
এছাড়ার গত বুধবার রাতে ডাকাতির প্রস্তুুতি কালে শহরের শম্ভুগঞ্জ এলাকা থেকে পিকআপ ভ্যান ও প্রাইভেট কার সহ ৮ জন ডাকাত কে গ্রেফতার করা হয়েছে । আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভুইয়া সাংবাদিকদের সাথে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে তথ্য গুলো জানান। এ সময় পুলিশের অন্যান্য অফিসারগন উপস্হিত ছিলেন।