শিরোনাম
◈ পাল্টা শুল্ক আরও কমার ইঙ্গিত দিলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ◈ গার্ডিয়ানে টিউলিপের সাক্ষাৎকারের ‘ছয়টি উল্লেখযোগ্য বিষয়ে’ বার্গম্যানের অভিমত ◈ পদ্মা-মহানন্দার ভাঙনে হুমকিতে জনপদ, সরানো হচ্ছে নারায়ণপুর ইউপি ভবন, স্থায়ী বাঁধের দাবি ◈ ভাইরাল হওয়াই কাল হল ফুটপাতের সেই বুফে বিক্রেতার! (ভিডিও) ◈ ভাইসা আসি নাই, কথা বলার সময় মুখ সামলায় বলবা : আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (ভিডিও) ◈ ফোন হারিয়ে রেলস্টেশনে বিদেশির কান্না ভাইরাল, অভিযোগ পায়নি পুলিশ (ভিডিও) ◈ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সম্মতি, তবে পিআর পদ্ধতিতে ভোটের দাবিতে অটল জামায়াত ◈ রিজার্ভ এখন ৩০.২৫ বিলিয়ন ডলার ◈ মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয় ◈ বাংলাদেশের মেয়েরা যেভা‌বে অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূলপর্বে 

প্রকাশিত : ১৪ নভেম্বর, ২০২২, ০১:৩৭ দুপুর
আপডেট : ১৪ নভেম্বর, ২০২২, ০১:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঘুর্ণিঝড় সিডরের ১৫ বছর আজ

ঘুর্ণিঝড় সিডর

জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী, আমতলী (বরগুনা) : আজ সিডর দিবস। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর রাতে ঘন্টায় ২১৫ কিলোমিটারগতির প্রলয়ঙ্কারী ঘুর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে লন্ডভন্ড করে দিয়েছিল আমতলী তথা দক্ষিণের জনপদ। আমতলী ও তালতলীতে মারাগেছে ২৭ জন মানুষ। অগনিত গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছে। বাড়িঘর, ফসলী জমি, রাস্তাঘাট, ভেরীবাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সুন্দরবনের গাছপালা ব্যাপক ক্ষতি হয়। 

সিডরের আজ ১৫ বছরেও উপকূল বাসীর মাঝে ফিরে আসেনি সচেতনতা।অগনিত গবাদিপশুর মৃত্যু হয়েছিল। বাড়িঘর, ফসলী জমি, রাস্তাঘাট, ভেরীবাঁধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সুন্দরবনের গাছপালা ব্যাপক ক্ষতি করে। আজও স্মৃতি নিয়ে বেড়াচছেন স্বজনদের। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সংস্কার হলেও টেকশই হয়নি। 

বরগুনার আমতলীর লোচা গ্রামের সুফিয়া বেগম ঘুর্নিঝড় শুরু হলে দু’পুত্র ও শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার পথে ৪ বছরের শিমু কন্যা বিউটিকে জলোচ্ছাসে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আঃ হাই মিয়া তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে ঝড়ের রাতে বাজারে সাইক্লোন সেল্টারে যাওয়ার পথে ভাসিয়ে নিয়েছিল। 

ঘটখালী ও বৈঠাকাটা গ্রামের ১৪ জন দিন মজুর পানের বরজের ধানশি লতা সংগ্রহে ট্রলার নিয়ে সাগরের ও পায়রা নদীর মোহনা টেংরাগিরি বনের কুলে সিডরের ভয়াল রাতে তাদের ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ৪ জন ফিরে আসলেও ১০ জন ফিরে আসেনি। ইউসুফ (৪০), জব্বার (৫৫), ছোবাহান (৪২), হোসেন (৫০), খলিল (৩৫), রতন (৪০), সোহেল (১৮), মনিরুল (২৫), দেলোয়ার (২৫), আলতাফ (২০) এর স্বজনরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। আমতলী ও তালতলীতে সরকারী ও বেসরকারীভাবে ৩৫ টি সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে। যা অপ্রতুল। বড় ধরনের দুর্যোগ দেখা দিলে মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পরবে। 

আমতলীর ঘটখালী গ্রামের নিখোঁজ হোসেন এর বড় ছেলে দিনমজুর রিপন বলেন, আমার মা অসুস্থ্য, আমরা ৪ ভাই ও ২ বোন। আমার বাবার নিখোঁজের পরে অর্থাভাবে লেখা পড়া করতে না পারায় বোনদের বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। ভাই স্বপন ও সবুজ রিকশা চালায়, সোহাগ স্ব-মিলে কাজ করে। আমরা সরকারের কাছ থেকে কোন সাহায্য দেয়নি। আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি। 

আমতলী এলজিইডি প্রকৌশলী মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সিডরের পরে যে সকল আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে, তা পর্যাপ্ত না। তিনি আরো জানান আরো আশ্রয় কেন্দ্রের প্রয়োজন।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম পান্না জানান, বন্য নিয়ন্ত্রণে বেড়িবাঁধ করা হলেও প্রতি বছর ভেংড়ে যাচ্ছে, টেকশই বেড়িবাঁধ দরকার। সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ

প্রতিনিধি/জেএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়