শিরোনাম
◈ শেখ হাসিনার মামলায় ট্রাইব্যুনালে ১২ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ ◈ চলতি সপ্তাহে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে: ইসি সচিব ◈ সিলেটে পাথরকাণ্ড: ডিসির পর এবার ইউএনওকে বদলি ◈ যে তিন শর্তে পিতৃত্বকালীন ছুটি দিতে রাজি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ◈ ৫৫ বছরের রেকর্ড ৯৩৭ কোটি টাকা মুনাফা বিমানের ◈ ভারত কি বাণিজ্য যুদ্ধ সামাল দিতে পারবে? ◈ ১৮ বছর আগে বরখাস্ত ৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ, প্রজ্ঞাপন জারি ◈ ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ অনুমোদন, ফল প্রকাশ কাল ◈ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুৎষ্পৃষ্ট মাকে বাঁচতে গিয়ে ছেলেও প্রাণ হারান ◈ কুমিল্লায় আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় দারোয়ানকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা

প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ০৬:১৫ বিকাল
আপডেট : ১৮ আগস্ট, ২০২৫, ১০:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমস্যার অপর নাম কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন, সমাধানের আশ্বাস আছে, কিন্তু পদক্ষপে নেই!

শাহাজাদা এমরান, কুমিল্লা: দেশের প্রাচীন রেলস্টেশন গুলোর মধ্যে অন্যতম কুমিল্লা রেলস্টেশন। তবে নানা সমস্যায় জর্জরিত এ স্টেশনটি বছরের পর বছর ধরে অব্যবস্থাপনার শিকার হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে ঘুরে ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে স্টেশনের সার্বিক চিত্র পাওয়া যায়।

দেখা যায়, কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনকে ঘিরে বাড়ছে দোকানপাট, হকার, সিএনজি-অটোরিকশা স্ট্যান্ড। ছিনতাই, প্ল্যাটফর্মে মারামারি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অপরদিকে যাত্রীসেবার উন্নয়নে কোনো উদ্যোগ নেই। স্টেশনে যাত্রীদের জন্য নির্ধারিত ফ্যান অনেক সময়ই বন্ধ থাকে। পর্যাপ্ত বিশ্রামাগারের অভাব, প্রথম শ্রেণি ও ভিআইপি বিশ্রামাগার দীর্ঘসময় বন্ধ থাকা, সুপেয় পানির অপ্রতুলতা, নিরাপত্তাকর্মীর অনুপস্থিতি এবং বারবার ট্রেন বিলম্বিত হওয়ায় যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সোমবার দুপুর ১১টার দিকে দেখা যায়, যাত্রীদের প্রচণ্ড ভিড়। ট্রেন বিলম্বিত হওয়ায় যাত্রীরা অপেক্ষায়। এ সময় এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের কিছু ফ্যান বন্ধ থাকায় তীব্র গরমে যাত্রীরা অসহ্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন। এ বিষয়ে দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ভিড় বেশি থাকায় কিছু ফ্যান চালু রাখা হয়েছে, তবে অন্যগুলোর দায়িত্ব বিদ্যুৎ বিভাগের।

প্রথম শ্রেণি ও ভিআইপি যাত্রীদের বিশ্রামাগার বন্ধ থাকায় চাপ পড়ছে দ্বিতীয় শ্রেণির বিশ্রামাগারে। স্টেশন মাস্টার দাবি করেন, প্রথম শ্রেণির টিকিট দেখালে বিশ্রামাগার খোলা হয়, তবে যাত্রীদের অভিযোগে এর সত্যতা মেলেনি।

স্টেশন চত্বরে দোকানপাট ও অস্থায়ী ব্যবসা আইনবহির্ভূতভাবে চলছে। ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন প্ল্যাটফর্মে ভিড় জমাচ্ছে। যদিও ইজারার টাকা থেকে যাত্রীদের জন্য সুপেয় পানি ও পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।

স্টেশনের বাইরে সিএনজি-অটোরিকশার দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। ভাড়া নির্ধারণ না থাকায় যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন। যাত্রী রমিজ উদ্দিন জানান, “ট্রেন থেকে নামার পর রিকশা বা অটোর অভাব হয় না, তবে ভিড়ের সময় বাড়তি ভাড়া চাই। প্রশাসন যদি নির্ধারিত ভাড়া ঠিক করে দিত, তাহলে সুবিধা হতো।”

এছাড়া স্টেশনের আশপাশে ছিনতাই চক্র ও কিশোর গ্যাং সক্রিয়। সামান্য কারণে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, পুলিশের কড়া নজরদারি ও জনগণের সচেতনতা জরুরি।

স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ারুল হক বলেন, “সবসময় ফ্যান চালু রাখলে বিদ্যুতের অপচয় হয়, তাই প্রয়োজন বুঝে চালু করি। বিশ্রামাগার পদমর্যাদা অনুযায়ী ভাগ করা আছে। বাজেট এলে পাবলিক টয়লেট ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে।”

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার বলেন, “পুলিশ সবসময় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্টেশনে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক সোহেল আহমেদ বলেন, “আমরা সবসময় নিরাপত্তা দিচ্ছি। সিভিল ড্রেসেও টহল দিচ্ছি। তবে মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়