নোয়াখালী প্রতিনিধি: প্রবল বর্ষণ ও ফেনী মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে নোয়াখালীতে ডুকতে শুরু করায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী শনিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এরই মধ্যে জেলা শহরের রাস্তাঘাট, অফিস-আদালত, বাসা-বাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠ-হোষ্টেল পানিতে তলিয়ে গেছে। গ্রামীণ সড়ক ও বাড়িঘরেও ওঠে গেছে পানি। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে জেলায় বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
আজ বুধবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় জেলা শহরে ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আওহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। এই বৃষ্টিপাত আগামী ৪দিন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে জেলায় ১ দিনে পানি বেড়েছে ১৭ সেন্টিমিটার। তবে পনি এখনো বিপদ সিমার নিচে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছে, বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে শহর জলমগ্ন হওয়ার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। শহরের ড্রেনগুলো ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে যাওয়া এবং খালগুলো দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ, অপরিকল্পিত আবাসন ও দোকানপাট গড়ে তোলার ফলে বৃষ্টির পানি কোথাও যেতে পারছে না। যার কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এতে সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে শহর তলিয়ে যাচ্ছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামেও একই অবস্থার কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জলাবদ্ধতার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে গেল বছরের ন্যায় এবারও জেলায় ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, বিভিন্ন এলাকা আমি ঘুরে দেখেছি। প্রধান সড়কগুলোতে এখনো জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়নি। তবে পাশের কিছু সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ইতিমধ্যেই খাল এবং ড্রেনগুলো পরিস্কার ও সংস্কার করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি সভা ডেকে সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বন্যার পূর্ব প্রস্তুুতি নিতে বলা হয়েছে।