শিরোনাম
◈ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে কড়াকড়ি, বিনিয়োগ বাড়াতে ভারসাম্যের খোঁজে বাংলাদেশ ব্যাংক ◈ গভীর সমুদ্রে মাছ আহরণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ◈ আ.লীগের নতুন পরিকল্পনা হাসিনাকে দেশে ফেরাতে, ঢাকায় প্রশিক্ষণ ◈ সাপুড়ের প্রাণ নেয়া সাপটিকে কাচা চিবিয়ে খেয়ে নিলো আরেক সাপুড়ে ◈ লুইস ‌দিয়াস লিভারপুল ছেড়ে দি‌লেন, চার বছরের চুক্তিতে ঢুক‌লেন বায়ার্নে মিউ‌নি‌খে ◈ রাষ্ট্র মেরামত ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সুযোগ কোনোভাবেই মিস করা যাবে না: আইন উপদেষ্টা  ◈ দুই ছাত্র উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা: জামিন পেলেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ফারাবী ◈ প্রথম পর্বে ৬২ বিষয়ে ঐকমত্যে রাজনৈতিক দলগুলো, তালিকা প্রকাশ করলো কমিশন ◈ জামায়াত আমিরের হার্টে তিনটি ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত : ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:৩২ দুপুর
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শৈলকুপায় সরকারি ক্যানালের মাটি কেটে বিক্রি করছে কৃষকদল নেতা

ফিরোজ আহম্মেদ, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়নের হামদামপুর এলাকায় সরকারি ক্যানালের পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় কৃষকদল নেতা। প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে ক্যানেলের পাশের জমির চাষাবাদ।
 
এলাকাবাসীর জানায়, কাঁচেরকোল ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি রুহুল মেম্বর গত কয়েক দিন ধরে এক্সকাভেটর (ভেকু) মেশিন ব্যবহার করে ক্যানালের পাড় কেটে মাটি নিয়ে বিক্রি করছেন। রুহুল মেম্বর ঝিনাইদহ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ওসমান আলী ও শৈলকুপা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াস আলীর ভাই।

এলাকাবাসী জানায়, গত ২৮ মার্চ হামদামপুর এলাকায় সরকারি ক্যানালের পাড়ের মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটা শুরু করে রুহুল মেম্বর। যেসব কৃষকের জমির উপর দিয়ে ক্যানাল পাড়ে যেতে হয় সেসব জমির চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়েছে সে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষকেরা। বার বার বললেও উল্টো হুমকি দিচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক অভিযোগ করে বলেন, গত কয়দিন ধরে মাটি কেটে বিক্রি করছে। ট্রলিতে করে মাটি আমাদের জমির উপর দিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের জমিতে এখন পাট বুনব। কিন্তু কোন ভাবেই রুহুল মেম্বর জমিতে চাষাবাদ করতে দিচ্ছে না।

আরেক কৃষক বলেন, যেভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে তাতে বৃষ্টি হলে খাল ধ্বসে পানি আমাদের ফসলের মধ্যে চলে আসবে। কিছুদিন পর তো আমরা বিপদে পড়ব।

স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন, এ ধরনের অবৈধ মাটি উত্তোলন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে দীর্ঘমেয়াদে এর পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক প্রভাব ভয়াবহ হতে পারে। ঘটনাটি একাধিকবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শৈলকুপা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের নীরব ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সচেতন নাগরিকরা।

এ ব্যাপারে রুহুল মেম্বর বলেন, খাল পাড় না পাশের একটি জমি থেকে মাটি কেটেছিলাম। মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি বলেই কল কেটে দেন।  এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিগ্ধা দাস বলেন, এমন কোন তথ্য আমার কাছে ছিলো না। আপনি যেহেতু বললেন, আমি ব্যবস্থা নিব।
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়