শিরোনাম
◈ নির্বাচনের মাঠে ঘুরে দাঁড়ানো পুলিশ: প্রস্তুতি, চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবতা ◈ "পাষন্ড স্বামীর কান্ড" ঈদের দিন স্ত্রী কে জবাই করে হত্যা ◈ দ্রুতগতিতে টার্ন নিতে গিয়ে যাত্রীবাহী কোচ খাদে পড়ে ৫৫ যাত্রী আহত ◈ সৌদি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী জানা গেলো ২০২৬ সালে কবে রমজান ও ঈদ ◈ ‌ক্রিকেটার‌দের পাওনা টাকা না দিয়ে দেশ ছাড়া ক‌রে‌ছে ওমান ক্রিকেট বোর্ড ◈ ভারতে দাঙ্গা লাগাতে চেয়েছিল পাকিস্তান'- জম্মু-কাশ্মীর সফরে গিয়ে বলেছেন নরেন্দ্র মোদী ◈ ‌টি‌কি‌টের দা‌বি‌তে বাফুফে ভবনের সামনেই ফুটবল আলট্রাসের ঈদ ◈ নেত্রীর সঙ্গে দেখা আমাদের প্রেরণা দেয়’—ঈদ রাতে ফিরোজায় বিএনপি নেতারা ◈ প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন সম্ভব? কী বলছে নির্বাচন কমিশন ও বিশেষজ্ঞরা ◈ স্যার পাঁচ বছর, স্যার পাঁচ বছর’

প্রকাশিত : ১৯ মার্চ, ২০২৫, ০৮:০৯ রাত
আপডেট : ০৩ জুন, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গণঅভ্যুত্থানে শহীদের মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহিদ পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার এক শহিদের মেয়েকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পবিবারের সদস্যরা জানান, গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হওয়া বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি ফিরছিলেন মেয়ে। তার নানাবাড়ি দুমকি উপজেলার একই ইউনিয়নে। পথে নলদোয়ানী থেকে অভিযুক্ত পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আলগী গ্রামের মামুন মুন্সির ছেলে সাকিব মুন্সি এবং সোহাগ মুন্সির ছেলে সিফাত মুন্সি তার পিছু নেন। রাস্তায় হঠাৎ মুখ চেপে ধরে তাকে পাশের জলিল মুন্সির ভিটা বাগানে নিয়ে যান এবং সেখানে সাকিব ও সোহাগ তাকে ধর্ষণ করেন। এ সময় তারা তার নগ্ন ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

এ ঘটনায় আজ বুধবার ভুক্তভোগী নিজে দুমকি থানায় অভিযোগ করেন। সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায় পুলিশ।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় দুমকি থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। ইতোমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। অপর অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত বছর ১৯ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার গাড়িচালক রাজধানীর মোহাম্মদপুর চৌরাস্তায় গুলিবিদ্ধ হন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে তার স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ছুটে যান। পরে তাকে ২১ জুলাই মহাখালী বক্ষব্যাধী হাসপাতালে ভর্তি করে আইসিইউতে রাখা হয়। দুই দিন পর সেখানে তার একটা অপারেশন করা হয়। কিন্তু এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি। পরের দিন ২২ জুলাই তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এভাবে ১১ দিন চিকিৎসা শেষে মারা যান তিনি।

১ আগস্ট তার মরদেহ পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়। এরপর থেকে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতেই থাকতেন। উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়