অনুজ দেব বাপু, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে বিভিন্ন সবজির দাম। কিন্তু দাম পুরোপুরি নাগালে না আসায় অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা। গত দুই সপ্তাহে কয়েকটি সবজির দাম কিছুটা কমে আসলেও অধিকাংশ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকার উপরে। পুরাতন আলুর দাম অব্যাহতভাবে বেড়েই চলেছে। এদিকে বাজারে নতুন পেঁয়াজ না আসায় আমদানি করা পেঁয়াজের দামও খুব বেশি কমেনি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন সবজির ভরপুর সরবরাহ দেখা গেছে। গত দুই সপ্তাহে সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমলেও এখনো বেশিরভাগ সবজি ৬০ থেকে ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে। শিম ১০০-১২০, টমেটো ১৩০-১৫০, ফুলকপি ৭০-৯০, কাঁকরোল ৮০-৯০, ঢেঁড়স ও বেগুন ৭০-৮০, পটল, বরবটি ও শসা ৬০-৮০, বাঁধাকপি ও লাউ ৪০-৫০, মুলা ৫০-৬০ ও পেঁপে ৩০-৪০ এবং কাঁচামরিচ ৮০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছুটা কমে এসেছে ধনিয়া পাতার দাম, বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। টানা দু’সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী থাকা আলুর দর এ সপ্তাহে আরও বেড়েছে। ভালো মানের পুরাতন আলু বিভিন্ন বাজারে ৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া নতুন আলু ১০০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল শাক, মূলা শাক, পুঁই শাক, মিষ্টি কুমড়া শাক ও পালং শাকের দাম কিছুটা কমে ১৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে।
পেঁয়াজের দাম ১০ টাকার মতো কমেছে। প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বাজার ও মানভেদে ৮৫-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারভেদে বিভিন্ন দেশের রসুন ২৩০-৩২০ ও আদা ১২০-২৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বাজারে খুচরায় ২-৩ টাকা বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম। কাটারিভোগ আতপ ২৫ কেজির বস্তা ২,০৫০-২,১০০, বেতি আতপ ৩,২৫০-৩,৩০০, হাফ সিদ্ধ নাজিরশাইল ২২০০, পাইজাম আতপ ১,৭৫০-১,৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মসুরের ডাল ১১০-১৩০, মুগ ডাল ১৪০-১৫৫, খেসারি ডাল ১১০, চনার ডাল ১৪৫, ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি প্যাকেট আটা ৬২-৬৩ এবং ময়দা ৭৫-৭৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৫৩-১৫৫, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭-১৭০, খোলা চিনি ১৩০, প্যাকেটের চিনি ১৩৫ এবং খোলা সরিষার তেল ১৯০-১৯২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। ব্রয়লার মুরগির ডিম ডজনপ্রতি ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি মুরগির ডিম ১৭০-১৮০ এবং হাঁসের ডিম ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি ২৮০-৩০০, পাকিস্তানি কক মুরগি ৩০০-৩৩০, দেশি মুরগি ৫২০-৫৫০, গরুর মাংস ৭০০-৯০০ এবং খাসির মাংস ১,১০০-১,১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজারে দেশি মাছের মধ্যে তেলাপিয়া ১৮০-২২০, রুই ২৫০-৩৮০, কাতলা ২৫০-৪০০, মৃগেল ২০০-২৫০, পাঙ্গাস ২০০-২২০, মাগুর ও শিং ৪৫০-৬৫০ এবং দেশি কই ৪৫০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লইট্যা বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২২০ টাকায়। এছাড়া চিংড়ি ৭০০-১২০০, মলা ৩৫০-৪৫০, বাইল্যা ৪০০-৫৫০, রিকশা ৪৫০-৬০০, পাবদা ৩৫০-৪৫০, কোরাল ৭০০-১০০০, টেংরা ৬০০- ৭০০ এবং বোয়াল ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :