শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৪৭ দুপুর
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফরিদপুরে  প্রতিপক্ষের হামলায় এক জন নিহত  

সনত চক্র বর্ত্তী ফরিদপুর : ফরিদপুরের সালথায় প্রতিপক্ষের হামলায় ইয়ার আলী (৫২) নামে এক মুদি দোকানি নিহত হয়েছেন। ঢাকা এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে টানা ২৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নিহত ইয়ার আলী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের গোপালিয়া গ্রামের মৃত খবির উদ্দীন শেখের ছেলে। তিনি গোপালিয়া গ্রামে একটি মুদি দোকান চালাতেন।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে ইয়ার আলী মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গোপালিয়া গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ শুরু। হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের বাড়িঘরে হামলার চেষ্টা করেন নিহতের স্বজনরা। পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আনুমানিক ১০ মাস আগে গোপালিয়া গ্রামের মফিজুর নামে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন ইয়ার আলী ও তার ছেলেরা। ইয়ার আলী গোপালিয়ার গ্রাম্যদল নেতা আয়ুব আলী মাস্টারের দলের সমর্থক আর মফিজুর প্রতিপক্ষের হাফিজুর রহমান মাস্টারের আপন ভাই। মফিজুরের ওপর হামলার পর থেকে উভয় দলের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই মধ্যে গত ১১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইয়ার আলীর ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষের লোকজন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইয়ার আলীর ভাতিজা কামাল হুসাইন। তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ১১ আগস্ট রাত ১০টার দিকে নিজ দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে ইয়ার আলীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের হাফিজুর রহমান মাস্টার ও তার ভাই মফিজুর এবং সাকেন শেখসহ কয়েকজন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সাভার এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

অভিযুক্ত হাফিজুর রহমান ও তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি তাদের ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ ফায়েজুর রহমান  বলেন, নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে ইয়ার আলীর ওপর হামলার ঘটনায় গত ১৪ আগস্ট একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তিত করার জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওই এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়