শিরোনাম
◈ গরুর চামড়া ৮০০ টাকা, ছাগলের ১০ ◈ সিলেটে ঈদ আনন্দ ভেসে গেল বন্যার জলে ◈ অর্থনৈতিক সংকটে সিংহভাগ মানুষ কোরবানি দিতে পারেনি: জিএম কাদের ◈ সুপার এইটে স্থান, ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন ◈ ফিলিস্তিন ও সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ শাসকগোষ্ঠী উল্লাসের ঈদ করছে আর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় চলছে শোকের মাতম: রিজভী  ◈ কারাগারে গরু ও খাসি কোরবানি, বন্দিদের বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা ◈ ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর ◈ ভারতে ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়ায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ১১টি বাড়ি ◈ দলীয় নেতাদের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় 

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২৪, ১১:২৬ দুপুর
আপডেট : ২৭ মে, ২০২৪, ০২:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেএনএফ আতংকে নিস্তব্ধ পর্যটন স্পট শৈলপ্রপাত, পর্যটকের অপেক্ষায় দোকানীরা

বাবুল খাঁন, বান্দরবান: [২] বান্দরবান জেলা সদরের সন্নিকটে চিম্বুক সড়কে পর্যটন স্পষ্ট শৈলপ্রপাত। বাঁশের চাউনি দেওয়া দোকানের টেবিলে সাজানো আম, আনারস, পেয়ারা, পেঁপে’সহ হরেক রকমের নিজেদের বাগানে চাষাবাদ করা তরতাজা ফলমূল অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কয়েকজন বম নারী। 

KNF - Bandarban

[৩] মূলত বম সম্প্রদায়ের নারীদের পরিচালিত দোকানপাট নিয়ে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন স্পষ্ট। সারাবছর পর্যটন কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে আগত পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকতো। 

[৪] সরজমিনে গিয়ে দেখা গেলে বর্তমান চিত্র সম্পূর্ণ অন্যরকম। এই এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের জীবন ও জীবিকার অন্যতম উৎস এখানে বেড়াতে আশা পর্যটক। পাহাড়ি পল্লীর জনসাধারণ নিজেদের বাগানে উৎপাদিত বিভিন্ন ফলমূল ও নিজেদের তৈরি কোমর তাঁতের বিভিন্ন পোষাক, হাতে তৈরি ব্যাগ, চাদর, বাঁশের তৈরি আসবাবপত্র সহ ঘর সাজানোর হরেক রকমের হস্তশিল্পের পণ্য সামগ্রী স্বল্পমূল্যে বিক্রি হতো পর্যটন কেন্দ্রের  দোকান গুলোতে। এই পর্যটন কেন্দ্রটির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ।

KNF - Bandarban

[৫] স্থানীয় দোকানীরা নাম উল্লেখ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানায়, আমরা এখন অনেক অসুবিধায় দিন পার করছি। শুনেছি বম জনগোষ্ঠীর অনেক যুবক কেএনএফ এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। তাদের কারণে এলাকায় এখন বম সম্প্রদায়ের সাধারণ পরিবারগুলো আতংকে থাকে। অনেক পরিবারের পুরুষরা ভয়ে পালিয়ে গেছে, বাগানের ফলন তোলার মানুষ নেই। বম নারীরা বাগান থেকে ফলন তুলে নিজেরাই  বিক্রির জন্য নিয়ে আশে। এখানে পর্যটক না আসলে এগুলো কে কিনবে! এটাই এখন প্রতিদিনের দুশ্চিন্তা।

[৬] পার্বত্য বান্দরবান গত এক বছরের অধিক সময় ধরে নতুন আঞ্চলিক পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফ এর অপতৎপরতা বৃদ্ধির কারণে আইনশৃঙ্খলা ও পর্যটকদের নিরাপত্তা জনিত কারনে স্থানীয় প্রশাসনের  কয়েক দফা পর্যটক ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ সহ সাম্প্রতিক সময়ে সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ রুমা ও থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংক ডাকাতি, ব্যাংক ম্যানেজার অপহরণ, ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যের অস্ত্র লুটের ঘটনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে জেলা সদর ইউনিয়ন’সহ রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে সন্ত্রাস বিরোধী একটানা সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত আছে। 

[৭] চলমান পরিস্থিতিতে গেলো কয়েক মাসে জেলায় পর্যটকের আগমন প্রায় অর্ধেকেরো বেশি নেমে গেছে। যার প্রভাবে বেশির ভাগ পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে প্রায় পর্যটক শুন্য থাকে, ফলে পর্যটন কেন্দ্রকে উপলক্ষ করে গড়ে উঠা পাহাড়ি জনসাধারণের দোকানগুলোতে বেচাকেনা খুবই সীমিত।

[৮] জেলা সদরের প্রায় সবগুলো পর্যটন কেন্দ্র নির্ভর হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, পরিবহন, রেস্টুরেন্টসহ প্রান্তিক পর্যায়ে। এতে পর্যটন খাতের সঙ্গে যুক্ত হাজারো মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। দোকানপাটের একই চিত্র। তারপরেও জীবন ও জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন তাদের দোকানগুলো খুলে হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে অপেক্ষায় থাকে আগত পর্যটকদের কাছে নিজেদের পণ্য সামগ্রী বিক্রির আশায়। সম্পাদনা: হ্যাপী

প্রতিনিধি/এইচএ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়