শিরোনাম
◈ গরুর চামড়া ৮০০, ছাগলের ১০ টাকা ◈ সিলেটে ঈদ আনন্দ ভেসে গেল বন্যার জলে ◈ অর্থনৈতিক সংকটে সিংহভাগ মানুষ কোরবানি দিতে পারেনি: জিএম কাদের ◈ সুপার এইটে স্থান, ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন ◈ ফিলিস্তিনসহ সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির ◈ শাসকগোষ্ঠী উল্লাসের ঈদ করছে আর বিএনপি নেতাকর্মীদের বাসায় চলছে শোকের মাতম: রিজভী  ◈ কারাগারে গরু ও খাসি কোরবানি, বন্দিদের বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা ◈ ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর ◈ ভারতে ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়ায় বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো ১১টি বাড়ি ◈ দলীয় নেতাদের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় 

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২৪, ১২:১৫ রাত
আপডেট : ২৭ মে, ২০২৪, ১২:১৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফতুল্লায় সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫

মোশতাক আহমেদ শাওন : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সন্ত্রাসী দুই গ্রুপের  মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

সংঘর্ষের সময় প্রায় ৫/৬টি ঘরর-বাড়ি ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ও ধাওয়া করে সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ থামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। 

রবিবার (২৬ মে) বিকেলে ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকায় রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানান, স্থানীয় প্রভাবশালী রহিম হাজী ও সামেদ আলী নিজেদের প্রভাব ও আধিপত্য ধরে রাখতে সন্ত্রাসী বাহিনী লালন পালন করেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রায় এক যুগ ধরে বিভিন্ন সময় সংঘর্ষ চলে আসছে। যা এখন পর্যন্ত চলমান রয়েছে।

ইতিপূর্বে এই দুই বাহিনীর সংঘর্ষে বিভিন্ন সময় উভয় গ্রুপের একাধিক ব্যক্তি নিহতও হয়েছেন। এসব সংঘর্ষের ঘটনায় মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি ও ফতুল্লা থানায় অন্তত অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। 

স্থানীয়দের দাবি, আকবর নগর এলাকার কিছু অংশ মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি থানায় এবং কিছু অংশ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় অবস্থিত হওয়ায় পুলিশ বিভিন্ন সময় চেষ্টা করেও এই দুই বাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড প্রতিহত করতে পারছে না। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে রবিবার দুপুর থেকে রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। বিকেলে দু'পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে টেঁটা, রাম দাসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। 

এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ সহ অন্তত পনেরজন  আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা ও মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে আহতদের কারো নাম জানা যায়নি। 

তারা আরও জানান, সংঘর্ষ চলাকালে উভয় গ্রুপের লোকজন ৫/৬টি ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ধাওয়া করে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে দুই পক্ষের সন্ত্রাসীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। 

ফতুল্লার বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মফিজ উদ্দিন বলেন, ১৭ রাউন্ড সর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে ও সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি টেঁটাবিদ্ধ হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

তবে আহতদের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। আকবর নগরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় তদন্ত সহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়