সুজিৎ নন্দী: [২] উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিন পরামর্শ দিচ্ছেন, সে অনুযায়ী তাপদাহ মোকাবিলায় কাজ চলছে। তিনি একজন একক ব্যক্তি। তিনি তো কাজগুলো বাস্তবায়ন করবেন না। তিনি পরামর্শ দিচ্ছেন, কিন্তু কাজগুলো আসলে আমাদের সকলকে করতে হবে। তার পরামর্শেই জনগণকে স্বস্তি দিতে আমরা এই কাজগুলো করছি।

[৩] মেয়র বলেন, বলেন, চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) বুশরা আফরিনের পরামর্শে বর্তমানে চলমান তীব্র তাপদাহে জনগণকে স্বস্তি দিতে সড়কে পানি ছিটানো এবং উত্তরের ৫৪টি ওয়ার্ডে বিনামূল্যে খাবার পানি সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি বিশেষ ভ্যানগাড়ি ৫’শ লিটার পানির ট্যাংক সম্বলিত পথচারীদের পানি পান করানোর জন্য নামানো হয়েছে। ভ্যানগুলো বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। এই ভ্যানগুলো ছোট আকারে করা হয়েছে যেন শহরের অলি গলিতে প্রবেশ করতে পারে। পথচারী এবং শ্রমজীবী মানুষ যেন পানি পান করতে পারেন।

[৪] বুশরা আফরিনকে নিয়োগ ও বেতন ভাতা প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি দেখছি কয়েকদিন ধরে তাকে নিয়ে অনেকে কথা বলছেন। তিনি সিটি করপোরেশন থেকে বেতন পাচ্ছেন, আসলে এটা সঠিক নয়। সিটি করপোরেশন থেকে তিনি একটি টাকাও পান না। এমনকি সিটি করপোরেশনে তার কোনো বসার ব্যবস্থাও নেই। তার কোনো চেয়ারও কিন্তু নেই।

[৫] মেয়র বলেন,হিট অফিসার নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান (অ্যাড্রিয়েন আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশন রেসিলিয়েন্স সেন্টার (আরশট-রক)। সারা বিশ্বে ৭ জন চিফ হিট অফিসার তারা নিয়োগ করেছে এবং সাতজনই নারী।

[৬] শনিবার আগারগাঁওয়ে বায়ু দূষণ রোধ ও তীব্র তাপদাহে শহরকে ঠাণ্ডা রাখতে উত্তর সিটির ওয়াটার স্প্রে  কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন। এর আগে, মেয়র আগারগাঁওয়ের সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সরণিতে এসে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের জন্য রাখা বিশেষ ভ্যান পরিদর্শন করেন এবং নিজে ট্যাপ ছেড়ে পানি পান করেন। পরে স্প্রে ক্যাননের মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টির মতো পানি ছিটানো শুরু হলে তিনি নিজে উচ্ছ্বসিত শিশু কিশোরদের সাথে ভেজেন এবং তাদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

[৭] নগরবাসীর প্রতি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ১, আমি উত্তর সিটি এলাকার দোকানদার, ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দদের অনুরোধ করছি আপনারা প্রতিটি দোকান, শপিংমল, মার্কেটের সামনে পানি খাওয়ার জন্য একটি ড্রামের ব্যবস্থা রাখবেন। সবাই যেন পানি খেতে পারে। ২, আমরা গতবছর ৮০ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এই বছর আরও ১ লাখ ২০ হাজার গাছ লাগাবো। এই গাছগুলো লালন পালনের জন্য আমি নগরবাসীকে অনুরোধ করছি। উত্তর সিটি  পরিচর্যা করছে, পাশাপাশি নগরবাসী যার যার বাড়ির সামনে, দোকানের সামনে যে গাছগুলো আছে সেগুলোর যত্ন নিবেন। ৩. এবছর ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আগেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। এডিস মশার সিজন শুরু হচ্ছে। সবাই যার যার বাড়ি, অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আশপাশ পরিষ্কার রাখবেন যেন এডিসের লার্ভা না জন্মায়। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এসবি২