নিজস্ব প্রতিবেদক: [২] যশোরে ইটভাটা শ্রমিক ফাইমা (৩৫) হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী জাহাঙ্গীরকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে সাতক্ষীরা জেলার তালা থেকে জাহাঙ্গীরকে যশোর পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) সদস্যরা আটক করে বলে জানায় পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমীন। তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে। এদিকে ইটের ভাটা শ্রমিক ফাহিমা বেগম হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই শরিফুল ইসলাম শেখ (৪০) বাদী হয়ে শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। মামলা নাম্বার ৪৩। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাত নামা।
[৩] মামলায় লিখিতভাবে শরিফুল ইসলাম বলেন, বোন ফাইমা ও ভগ্নিপতি জাহাঙ্গীর বিভিন্ন ইট ভাটায় কাজ করতো। গত ১ ডিসেম্বরে জনৈক ইসমাইলের মাধ্যমে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর দফাদার ইটের ভাটায় কাজ নেয়। এক সপ্তাহ কাজ করার পর বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বোন ও ভগ্নিপতি তালায় নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। এক সপ্তাহ পরে ১৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তালা থেকে যশোরের ওই দফাদার ইট ভাটায় কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকাল ৫টা ২০ মিনিেিট আমার বোন ফাইমার ও জামাই জাহাঙ্গীরের সাথে বোনের মেয়ে মরিয়মের কথা হয়। তারা মরিয়মকে জানায় অল্প সময়ের মধ্যে তারা ইট ভাটায় পৌছে যাবে। পরবর্তীতে তাদের সাথে যোগাগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ভাটার সরদার ইসমাইলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে জানা যায় তারা কেউই ভাটায় কাজে যায়নি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে সাতক্ষীরা জেলার তালা থানায় জিডি করা হয়। (নাম্বার-৩৩ তারিখঃ ০১.০১.২২) বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে আমার ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী নাজমা বেগম মোবাইলে জানায় নরেন্দ্রপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেপ্টিট্যাঙ্কের (রিংস্লাবের) ভিতরে অজ্ঞাত মহিলার মরদেহ পাওয়া গেছে। যশোরে এসে মরদেহ শনাক্ত করি। গত ১৫ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে ১৩ জানুয়ারি দুপুর ২টার মধ্যে যে কোনো সময় অজ্ঞাত নামা আসামিরা বোনকে খুন করে লাশ গুম করার উদ্দ্যশ্যে টয়লেটের ট্যাংকের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। যশোর কোতোয়ালী থানার ওসি তাজুল ইসলাম এই মামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।