শান্ত মজুমদার: [২] তিনদফা দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা ও সহকারী প্রভোস্টদের পদত্যাগসহ তিনদফা দাবিতে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা। জাগো নিউজ, ঢাকা পোষ্ট
[৩] শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন আন্দোলনরত ছাত্রীদের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। কিন্তু উপাচার্যের আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে তাৎক্ষণিক দাবি মেনে নিতে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
[৪] ছাত্রীদের প্রতিনিধি দল উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কাছে লিখিতভাবে তিনদফা দাবি তুলে ধরেন। উপাচার্য তাদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে একমাস সময় চেয়ে প্রস্তাব করেন। ঘণ্টাখানেক পর ছাত্রীদের প্রতিনিধি দল বাইরে অপেক্ষারত ছাত্রীদের বিষয়টি তুলে ধরলে তারা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
[৫] ছাত্রীদের তিনদফা দাবির মধ্যে রয়েছে- পুরো হল প্রভোস্ট কমিটিকে পদত্যাগ করতে হবে, অবিলম্বে হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা নির্মূল করতে হবে এবং হলের সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে ও অবিলম্বে ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রভোস্ট কমিটি নিয়োগ দিতে হবে।
[৬] আন্দোলনরত ছাত্রীদের দাবি, রাতে উপাচার্যের আশ্বাসে তারা হলে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু আজ দুপুরে সাক্ষাৎকালে উপাচার্যের দেওয়া আশ্বাসে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ছাত্রীরা। তাই তারা উপাচার্যের আশ্বাস প্রত্যাখ্যান করেন। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে বলে জানায় আন্দোলনরত ছাত্রীরা।
[৭] এর আগে গতকাল বুধবার রাত ১২টা থেকে একই দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশ রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত ছাত্রীরা। পরে রাত আড়াইটায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে রাতে তারা হলে ফিরে যান।
[৮] আন্দোলরত একাধিক ছাত্রী বলেন, হলের কোনো সমস্যাতেই প্রভোস্ট দায়িত্ব নিতে চান না। তার কাছে সমস্যাসমূহ তুলে ধরলে তিনি প্রতিনিয়ত অশোভন আচরণ করে সিট বাতিলের হুমকি দেন। এমন আচরণ দিন দিন বেড়েই চলছে। এমনকি হলের বিষয় নিয়ে বিভাগেও হয়রানি করা হয়। অবিলম্বে বর্তমান হল প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টদের অপসারণ করে ছাত্রীবান্ধব এবং দায়িত্বশীল প্রভোস্ট কমিটি নিয়োগ দিয়ে সব ধরণের অব্যবস্থাপনার দ্রুত সমাধান করার দাবি জানান তারা।
[৯] শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে হল প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা বলেন, ছাত্রীরা সবকিছু বাড়িয়ে বলছে। হলের খাবারের মান ও থাকার পরিবেশও খুব ভালো। তাদের সঙ্গে কোনো ধরণের অশোভন আচরণের ঘটনা ঘটেনি।
[১০] ছাত্রীদের আন্দোলনে হল প্রশাসনের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ, বিশ্রামে আছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়গুলো দেখছে।’