হাসান শান্তনু: 'আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন র অা ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী'- দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে এমন আলোচনা চলছে। আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের আগাম কেন্দ্রীয় সম্মেলন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন পর্যায়ের বিতর্কিত নেতাদেরকে দলীয় পদ থেকে সরানো, যোগ্যদেরকে সামনে আনা, ঘরবন্দিদেরকে মাঠে ফেরানো ও দলের 'জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতা রক্ষায়' আগাম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের চিন্তাভাবনা চলছে। পেশাগত নির্ভরযোগ্য সূত্র তথ্যগুলো জানিয়েছে।
সূত্র বলছে, 'মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে পারে’- এমন 'গুঞ্জন' এবারো যথারীতি চাউর হয়েছে। এবার 'গুঞ্জন' বেশি জোরালো ও প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠার কারণ- বিশ্ব থমকে দেয়া করোনাভাইরাসের প্রভাব। করোনায় দেশজুড়ে সরকারি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে, এ সময় সাংগঠনিক কাজ করা যায়নি। নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেকে মাঠে নেই। কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েক নেতার বিতর্কিত কাণ্ড ও করোনার মতো দুর্দিনে নিজের সংসদীয় এলাকার জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখার গুরুতর অভিযোগ আছে। এতে সমালোচিত হচ্ছে দল ও দলের নেতৃত্বের সরকার।
তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের কথা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে জনগণের পাশে থাকতে দলের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ আছে নেতাকর্মীদের প্রতি। তাই নতুন খ্রিষ্টীয় বছরের শুরু থেকেই সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে দলকে ঢেলে সাজানো, সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাদেরকে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্ব দেয়ারও নির্দেশ আছে। একই সঙ্গে ২০২২ সালের প্রথম দিকে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের জন্যও প্রস্তুতি নেয়ার পরিকল্পনা আছে।
তথ্য আরো বলছে, আওয়ামী লীগের আগামি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এখন পর্যন্ত আলোচনায় আছে অন্তত চারজনের নাম। তাঁদের মধ্যে এগিয়ে আছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন মোকতাদির আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টানা তিন মেয়াদের সরকারের মন্ত্রিসভায় থাকেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক একান্ত সচিব মোকতাদিরের মন্ত্রিসভা থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু তনয়া বিশেষ বিবেচনা করছেন।
সূত্র দাবি করছে, আগামি বছরের প্রথমদিকে মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ যোগ হতে পারে। পরবর্তী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে নতুন কয়েকজনকে দেখা যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে স্বরাষ্ট্র, আইনসহ জনসেবায় সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয় আছে। তখন জননেতা মোকতাদিরকে মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। বহুরৈখিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে পুরোধা ব্যক্তিত্ব মোকতাদির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অভাবনীয় উন্নয়নের এক আশ্চর্যপ্রদীপ। দলকে তৃণমূল পর্যায়ে সুসংগঠিত করে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে তিনি এখন বাতিঘর। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :