শাহীন খন্দকার: [২] এইডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত এক দিনে ৬৯ জন দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৫ দিনে মোট ৩ হাজার ২৬২ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে গেছেন, তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের।
[৩] অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল সবেচেয়ে বেশি। এরপর অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে তা কিছুটা কমতে থাকে। নভেম্বরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ থেকে ১৮০ এর মধ্যে ওঠানামা করছিল। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে তা ৬০ এর নিচে নেমে এল আর ৩০ দিনে ৩হাজার ৫৬৭ জন।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন যে ৬৯ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে গেছেন, রাজধানীতে নতুন ভর্তি রোগী ৫৯ জন আর ঢাকার বাইরে নতুন ভর্তি রোগী ১০ জন। গত একদিনে ডেঙ্গুতে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩৭৩ জন ডেঙ্গু রোগী, ঢাকার ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তিরোগী ২৬৮ জন। অন্যান্য বিভাগে রোগী ভর্তি রয়েছেন ১০৫ জন।
[৫] চলতি বছর মোট ২৭ হাজার ২২২জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে ২৬ হাজার ৭৫১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে জুলাই মাস থেকে উদ্বেগ বাড়াতে থাকে ডেঙ্গু। সেপ্টেম্বর মাসে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮৪১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই মাসে মারা যান ২৩ জন।তার আগে অগাস্ট মাসে ৭ হাজার ৬৯৮ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিন। আর ডেঙ্গুতে প্রাণ যায় ৩৪ জনের।
[৬] অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গেছেন ৫ হাজার ৪৫৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। ২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করায় এক লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এই ভাইরাস জ্বরে। সে বছর বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে আসা ২৬৬টি মৃত্যু পর্যালোচনা করে ১৪৮ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছিল আইইডিসিআর।