রুবেল মজুমদার: [২] যৌতুকের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বেদম মারধর করে নির্মম ভাবে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
[৩] নিহত ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর নাম তামান্না আক্তার কনা (২০)। ঘটনাটি ঘটেছে মনোহরগঞ্জ উপজেলার আলোকদিয়া ভূঁইয়া বাড়ীতে। সোমবার বিকেলে নিহত ওই এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ পুলিশ ময়নাতদন্ত শেষে লাকসামের নশরতপুর নানার বাড়িতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। সে লাকসামের চলন কলেজের বর্তমান শিক্ষা বর্ষের এইচএসসি পরীক্ষার্থী।
[৪] নিহত এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ভাই সজিব আহমেদ বিপ্লব জানান, ছয় মাস পূর্বে মনোহরগঞ্জ উপজেলার নাথেরপেটুয়া ইউনিয়নের আলোকদিয়া ভূঁইয়াবাড়ি এলাকার অহিদুল ইসলামের ছেলে রাজমিস্ত্রি রাশেদুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিদেশে যাওয়ার জন্য ২ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য শ্বশুর-শাশুড়ি ও স্বামী প্রায়ই নির্যাতন চালাতো। এ মধ্যে ধার দেনা করে এক লাখ টাকা দেয়া হয়। বাকি টাকা তামান্না এইচএসসি পরীক্ষার বিদায় অনুষ্ঠান শেষে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার সময় নিয়ে যাবে বলে তাদেরকে জানায়।
[৫] সে রোববার বিকেলে বাকী এক লাখ টাকার মধ্যে ২০ হাজার টাকা নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে বেদম মারধর করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। এদিকে ঘটনার পর থেকে তামান্নার স্বামী রাশেদুল ইসলাম টিটু, শ্বশুর অহিদুল ইসলাম ও শাশুড়ি রোকেয়া বেগম পলাতক রয়েছে।
[৬] নিহত শিক্ষার্থীর ভাই সজীব আরো বলেন, তার বোন রোববার এইচএসসি পরীক্ষার বিদায় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্থানীয় চলন কলেজে আসে। স্বামীর বাড়ি যাওয়ার সময় যৌতুকের ২০ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে যায়। কিন্তু তাতেও আমার বোনের রক্ষা হয়নি।
[৭] নিহত পরীক্ষার্থীর মা আয়মা জানান, রোববার রাতে তার স্বামী টিটু আমাকে ফোন করে বলে তামান্নার শরীরটা ভালো না, তাড়াতাড়ি আমাদের বাড়িতে আসেন। যেয়ে দেখি তামান্নার নিথর দেহ।
[৮] মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবুল কবির বলেন, ‘নিহত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের ভাই সজীব বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সম্পাদনা: শান্ত মজুমদার
আপনার মতামত লিখুন :