শিমুল মাহমুদ: [২] হাসপাতালে ভর্তির পর খালেদা জিয়ার শরীরে তিন দফায় রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে গত ২৪ ঘন্টা কোনো রক্তক্ষরণ হয়নি, পরিস্থিতি স্টেবল আছে।
[৩] মেডিকেল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, জরুরীভাবে তার ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট (টিআইপিএস) করতে হবে। এটা একটা টেকনিক্যাল হাতের কাজ। এ কাজটা ফ্রিকোয়েন্টলি হয় না। এ ধরনের এডভান্স রেফারেল কেসগুলো করে হাতে গোনা একটা দুইটা সেন্টার।
[৪] মেডিকেল বোর্ড জানায়, খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থার চিকিৎসা শুধু যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কিছু মেডিকেল সেন্টারেই সম্ভব। এখন যেহেতু রক্ত যাওয়া বন্ধ আছে, তাই এখনই বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে হবে। না পারলে পরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া জটিল হয়ে যাবে। তাঁর জন্য পরিস্থিতি ‘লাইফ থ্রেটেনিং’।
[৫] অধ্যাপক ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, ম্যাডামকে এ পদ্ধতিতে টিআইপিএস না করা হয় তাহলে আগামীতে আবার রি-ব্লিডিং হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটা আগামী সপ্তাহে ৫০ শতাংশ। পরে সপ্তাহে ৭০ শতাংশ।
[৬] তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি যে, তার শরীরে আবার যদি ব্লিডিং হয়, সেটা কন্ট্রোল করা, সেটাকে বন্ধ করার মতো সাপোর্টিভ প্রযুক্তি আমাদের এখানে নেই। সেক্ষেত্রে ওনার ব্লিডিং হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যাবে।
[৭] প্রশ্ন করা হয়, বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তির পর দু’সপ্তাহ পার হয়েছে, এতোদিন পর কেনো সংবাদ সম্মেলন করছেন?
[৮] উত্তর দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন ড. সিদ্দিকী, এসময় তাকে অশ্রুসজল দেখা গেছে।
[৯] তিনি বলেন, এ কয়দিন আমরা চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আর সংবাদ সম্মেলন করার অনুমতিই পেয়েছি শনিবার।
[১০] ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, গত ১৩ নভেম্বর শুক্রবার রাত ৯ টা ২০ মিনিটে প্রথম উনার রক্ত বমি হয়। তখন সেন্ট্রাল ভেনাস লাইন, হার্টেরিয়াল লাইন থেকে ফ্লুইড ও ব্লাড স্যাম্পল নেওয়া হয়।
[১১] তিনি বলেন, তখন আমরা বিশ^াস করতে পারছিলাম না, উনার পুরো কোলন রক্ত জমাট বেঁধে কালো হয়ে আছে। সেটাকে প্রেশারর দিয়ে দিয়ে ক্লিন করে করে উপরে উঠতে হয়েছে। আমরা ৪০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত যেতে পেরেছি কিন্তু ব্লিডিং-এর সোর্স খুঁজে পাইনি। এরপর আবারো লাইভ সাপোর্ট মেডিসিন দিয়েছি।
[১২] বেগম জিয়ার বাসভবনের সামনে এ প্রেস ব্রিফিং-এ খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, অধ্যাপক ডা. কিবরিয়া মহসিন, অধ্যাপক ডা. শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক ডা. মোঃ নুরুদ্দিন ও ডা. আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :