রেজা ঘটক: মদিনা সনদ দিয়ে একেবারে চলচ্চিত্র বন্ধ করে দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। খামাখা এত কষ্ট করার কী দরকার!!!
সনদ ছাড়া কোন চলচ্চিত্র প্রদর্শন করলে সর্বোচ্চ ৫ বছরের জেল বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন- ২০২১’ এর খসড়া নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বোর্ডে আগের মতোই একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। ১৪ জন সদস্যসহ মোট ১৫ জনের একটি বোর্ড থাকবে, যারা সার্টিফিকেট দেবেন। নতুন আইনে চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে শ্রেণিবিন্যাস ও মূল্যায়ন পদ্ধতির কথা বলা হচ্ছে। থাকবে ৭ সদস্যের একটি আপিল বোর্ড। যেখানে আগের মতোই ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সভাপতি থাকবেন।
যদি কোনো ব্যক্তি সার্টিফিকেশনবিহীন কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন তাহলে সে অপরাধে তিনি অনধিক ৫ বছরের কারাদণ্ড বা ৫ লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর কোনো ব্যক্তি যদি কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর কোনো টেম্পারিং করেন তাহলে ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
প্রথম প্রশ্ন- যে ১৫ জন নিয়ে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড গঠিত হবে তারা সবাই কী চলচ্চিত্র বোঝে?
দ্বিতীয় প্রশ্ন- নাম পরিবর্তন ছাড়া নতুন আইনে চলচ্চিত্রের আর যেসব বিষয়ের প্রতি কঠোরতা আরোপ করতে যাচ্ছে, তা দেশের চলচ্চিত্রের কতটা উপকারে আসবে?
নতুন আইনে পোস্টারের পাশাপাশি ট্রেলারেরও বোর্ড থেকে অনুমোদন নিতে হবে। তার মানে এই বোর্ডের দুর্নীতি করার আরো পাকা রাস্তার ব্যবস্থা করা হলো।
নতুন আইনে আর কী কী আছে, কেউ জানলে দয়া করে বলুন। এদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণ করাকে অপরাধের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নতুন এই আইনের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে রাখলাম!