রিয়াজুর রহমান: [২] চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালনায় সোমবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে এ টিকাদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহারিয়ার কবীর।
[৩] ডা. হাসান শাহারিয়ার কবীর বলেন, টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে করোনার সংক্রমণ কমে আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে করোনা শূন্য ডিজিটে নেমে এসেছে।
[৪] তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আমরা তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীকেও টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। এভাবে পিছিয়ে পড়া সমাজের অন্যান্য জনগোষ্ঠীকেও টিকার আওতায় আনা হবে। এদিকে খুব সহজেই টিকা গ্রহণ করতে পেরে উচ্ছ্বাসিত তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীরা।
[৫] ধাপে ধাপে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ৬৫ হাজার ৩০০ শ্রমিককে দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র।
[৬] সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানা গেছে, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে চট্টগ্রামের তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫০০ জনকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ। এদিন প্রায় সাড়ে তিনশ তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় সিভিল সার্জন কার্যালয়।
[৭] জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরীর সভাপতিত্বে টিকা প্রদান কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন- ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আসিফ খান, মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াজেদ অভি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. জাহেদুল ইসলাম, জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া প্রমুখ।