হ্যাপি আক্তার: [২] বাসে শিক্ষার্থী ও দাঁড়িয়ে চলাচল করা যাত্রীদের হাফ ভাড়া পরিশোধ কোনো দাবি নয়, এটি তাদের অধিকার বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
[৩] সোমবার (২২ নভেম্বর) সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
[৪] বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়- ঢাকা-চট্টগ্রাম মহানগরীসহ শহরতলীর বাস-মিনিবাসের ভাড়া ৭০ শতাংশ আসন গড় বোঝাই ধরে নির্ধারণ করা হয়। ফলে বাকী ৩০ শতাংশ আসনের ভাড়া ৭০ শতাংশ যাত্রীরা পরিশোধ করেন। তাই এই ৩০ শতাংশ আসনে ছাত্র-ছাত্রী ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে দাঁড়ানো যাত্রীদের কাছ থেকেও হাফ ভাড়া নিতে হবে।
[৫] যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ভাড়া নির্ধারণ প্রক্রিয়া অনুযায়ী ছাত্র-ছাত্রী ও দাঁড়ানো যাত্রীদের হাফ ভাড়া দাবী বা দয়া নয়। এটি যাত্রীদের অধিকার দাবি করে তিনি আরো বলেন, যাত্রী প্রতিনিধি না রেখে ভাড়া নির্ধারণ করায় বিআরটিএ কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে বাস মালিকেরা নানা খাতে অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে একচেটিয়া ভাড়া বাড়ানোর ফলে এই ভাড়া যাত্রীদের গলার কাটায় পরিণত হয়েছে। এই ভাড়া পরিশোধ করে বাসে যাতায়াত করা নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত যাত্রীদের জন্য দুরূহ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে ঢাকা শহরে কথিত সিটিং ও গেইটলক সার্ভিসের নামে ওয়েবিলে যাত্রীর মাথা গুণে গুণে ৫ কিলোমিটার যাতায়াতের ক্ষেত্রে ২৫ কিলোমিটারের ভাড়া আদায়।
[৬] স্বল্প দুরত্বের যাত্রীদের সরকার নির্ধারিত ভাড়ার ৩-৪ গুণ বাড়তি ভাড়া আদায়ের ফলে নাগরিক জীবন বিষিয়ে উঠেছে। এসব পরিবহনের হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে জনগণ বিকল্প উপায় খুজঁছে। এহেন পরিস্থিতিতে অনুন্য উপায় হয়ে গড়ে উঠা ছাত্র-ছাত্রীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করার পাশাপাশি সকল শ্রেণীর গণপরিবহনে দাঁড়ানো যাত্রীদের অর্ধেক ভাড়ায় যাতায়াতের সুযোগ প্রদানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।