ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২] ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকে বঙ্গবন্ধুর কিশোর চরিত্রে অভিনয় করছেন তারকা দম্পতি বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশিপুত্র দিব্য জ্যোতি। মুম্বাই অংশের কাজ শেষ হয়েছে কয়েকমাস আগে। এখন বাংলাদেশ অংশের শুটিং শুরু হবে।
[৩] মুম্বাই কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে চাইলে দিব্য বলেন, সবকিছু গোছানো। ওয়েল অর্গানাইজড। টেকনিক্যাল, প্রডাকশন ও লাইট ক্রুসহ ৫ থেকে ছয়শো মানুষ একসঙ্গে কাজ করেছি, কিন্তু কারও মুখে কোনো শব্দ নেই। কারও গলার কোনো আওয়াজ নেই। সবাই জানতেন, কার কী করতে হবে। কাউকে কিছু বলতে হতো না। সবকিছু সময়মতো হয়ে যেতো। খুবই পেশাদার ছিলেন সবাই। কাজ করতেন সময়মতো আসতেন, কাজ শেষে নিঃশব্দে চলে যেতেন।
[৪] বঙ্গবন্ধু বায়োপিক নির্মাণের সঙ্গে কতোসংখ্যক মানুষ জড়িত ছিলেন মুম্বাইয়ে, সংখ্যাটা জানি। কেননা প্রতিদিন মুম্বাইয়ে শ্যুটিংয়ের আগে আর্টিস্টসহ প্রোডাকশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার আরটিপিসিআর টেস্ট করা হতো। চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করলে বলে দিতেন, এতোগুলো করোনা টেস্টিং কিট ব্যবহার করা হয়েছে।
[৫] এখনো বিশ্বাস হয় না আমি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করছি। বঙ্গবন্ধু হয়ে মুম্বাইয়ে একমাস থেকেছি। ‘বঙ্গবন্ধু’ বায়োপিকে কাজ করছিÑ যখন উপলব্ধি করি, গায়ের লোম দাঁড়িয়ে যায়।
[৬] বায়োপিকে কাজ শুরুর আগে বঙ্গবন্ধুকন্যার সঙ্গে দেখা করেছি। প্রধানমন্ত্রী তার দাদা-দাদীর মুখ থেকে যা শুনেছিলেন, তা শেয়ার করেছিলেন। এটা আমাকে অনেক বেশি হেল্প করেছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত বিভিন্ন বই পড়েছি। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে গিয়েও কিছু দেখা-জানার চেষ্টা করেছি। আমার বয়সী একজন মানুষ কীভাবে এতো বড় রাজনৈতিক চেতনা ও বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের দর্শন নিজের মধ্যে ধারণ করতে পেরেছিলেন, অবিশ^াস্য মনে হয়েছে।
[৭] বঙ্গবন্ধুর কিশোর বয়স নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো ফুটেজ নেই। স্টিল ছবিও নেই। তিনি একজন কিংবদন্তি ও আইকন মানুষ। বঙ্গবন্ধুকে কিশোরবেলায় দেখা মানুষ এখনো অনেকে বেঁচে আছেন। এছাড়া কিশোর বয়সে কীভাবে তিনি কথা বলতেন, হাঁটতেন ও বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। আমি সেরকম ভিজ্যুয়াল রেফারেন্সও পাইনি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা দিয়ে কাজটা করতে হচ্ছে।
[৮] বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের সঙ্গে থাকার কারণে একজন মানুষ হিসেবে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছি। বেটার মানুষ হয়ে গেছি। বঙ্গবন্ধু হয়ে থাকার চেষ্টা করেছি এবং করছি। বাংলাদেশের সবাইকে বঙ্গবন্ধু চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ অভিনয় প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে যেতে গেলে তারা একজন ভালো মানুষ হিসেবে বের হয়ে আসবেন। যা আমাদের সমাজে খুবই দরকার।
[৯] বঙ্গবন্ধু বায়োপিকে আমি বঙ্গবন্ধুর কিশোরবেলার চরিত্র ধারণ করেছি, অভিনয় করছিÑএতে সন্তুষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। কারণ তিনি এতো কিছু করে গেছেন, তা ধারণ করে অভিনয়ে ফুটিয়ে তোলা সহজ কাজ নয়। যদিও ডিরেক্টরিয়াল টিম ও সহঅভিনেতারা বলেছেন, ভালো হচ্ছে। ভালো করছি।