নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত। খোরশেদের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা সাইদা আক্তার শিউলির দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালত বুধবার (১৭ নভেম্বর) এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চলতি বছরের ২৫ আগস্ট কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা ব্যবসায়ী সাইদা আক্তার শিউলি। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পিবিআই।
এই বিষয়ে পিবিআই'র নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, তদন্তে খোরশেদের বিরুদ্ধে ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে গত ৪ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এস আই তৌহিদুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। পরবর্তীতে ১৭ নভেম্বর বুধবার শুনানির দিন ধার্য্য করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদ হয় কাউন্সিলর খোরশেদের। এরপর থেকে সাইদা আক্তারের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলেন কাউন্সিলর খোরশেদ। একপর্যায়ে গত বছরের ২ আগস্ট বিকালে সাঈদা আক্তারের কাঁচপুরে অবস্থিত এসএস ফিলিং স্টেশনে খোরশেদ একজন লোক নিয়ে যান। সেই লোককে কাজী বলে সাঈদাকে পরিচয় করিয়ে দেন খোরশেদ। এরপর সেই কাজী তার রেজিস্ট্রারে সাঈদার স্বাক্ষর নিয়ে বলেন আপনারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ওই রাত ১১টায় সাঈদা আক্তারের নিজ বাসায় বাসরের নামে খোরশেদ তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করেছেন। তারপর থেকে প্রায়ই তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর দাবিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে খোরশেদের কাছে একাধিকবার সাঈদা আক্তার বিয়ের কাবিননামা চান। খোরশেদ কাবিননামা না দিয়ে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রাত ১১টায় আবারো সাঈদা আক্তারের বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। - ইত্তেফাক