সুজন কৈরী : [২] একটি পোশাক তৈরির কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে দর্জির কাজ করতেন একজন তরুণ। গত কয়েক মাস ধরে সঠিক সময়ে বেতন পরিশোধ না করায় ওই তরুণ কারখানায় কাজ করতে অসম্মতি জানান। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে কারখানার মালিক ওই তরুণকে অপহরণ করেন এবং ভুক্তভোগীকে শেকলে বেধে রাখেন। পরে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ বাবদ টাকা দাবি করেন।
[৩] বিষয়টি র্যাবকে জানান ভুক্তভোগী তরুণের বাবা। পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে সজল নামের কারখানার ওই মালিককে আটক ও ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে।
[৪] মঙ্গলবার রাতে র্যাব-১০ এর একটি দল ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের হিজলতলা ও শুভাঢ্যা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই শ্রমিককে উদ্ধার ও অপহর্রণকারী সজলকে আটক করে। এ সময় সজলের কাছ থেকে ১টি লোহার শিকল, ৩টি তালা, ২টি চাবি ও ১টি মোবাইল ফোন জব্দ করে র্যাব-১০।
[৫] ব্যাটালিয়নের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিকটিম সজলের পোশাক তৈরির কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে দর্জির কাজ করতেন। গত কয়েক মাস ধরে আসামী সজল সঠিক সময়ে বেতন না দেওয়ায় ভিকটিম কাজ করতে অসম্মতি জানান। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সজল ১৪ নভেম্বর সকালে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের শুভাঢ্যা পিকার স্কুল এলাকা থেকে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিজ কারখানায় নিয়ে যান সজল।
[৬] সেখানে ভিকটিমকে মধ্যযুগীয় কায়দায় শিকল দিয়ে বেধে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে ভিকটিমের বাবা সজলের কাছে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্ত সজল ভিকটিমের বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। পরে নিরুপায় বাবা র্যাব-১০ এর কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব হিজলতলায় সজলের শার্ট ও থ্রী পিচের কারখানায় অভিযান চালিয়ে শিকল দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
[৭] অভিযানের খবর পেয়ে সজল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টায় কেরাণীগঞ্জের শুভাঢ্যা এলাকা থেকে সজলকে আটক করে র্যাব।
[৮] প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সজলের কাছ থেকে র্যাব জানতে পেরেছে, সজল পরিকল্পিত ভাবে ভিকটিম তরুণকে কারখানায় অন্যায়ভাবে আটকে মারধর করে মধ্যযুগীয় কায়দায় শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন এবং ভিকটিমের মুক্তির জন্য টাকা দাবী করেছিলেন। আটককৃতের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :