আন্তর্জাতিক ডেস্ক: [২] বসের আদেশে অফিসের সময় শেষেও কাজ করে যেতে হচ্ছে কিংবা বাড়তি কাজের চাপ সামলাতে আগেভাগেই অফিসে আসতে হচ্ছে? পশ্চিমা দেশগুলো এই সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারলেও আমাদের উপমহাদেশ এখনো পিছিয়ে আছে এই বাস্তবতায়। সারাদিন গো খাটুনি খেটেও যেনো বসের মন পাওয়া এক প্রকার দুঃসাধ্য ব্যাপারই বটে। এমন অবস্থার পরিবর্তন হতে চলেছে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা টিসিএস। এমনকি, দৈনিক কাজের সময়ের পুরনো ধারণাও বদলে ফেলতে চলেছে তারা। এমনটাই জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা
[৩] রতন টাটার সংস্থা চায়, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে কাজের সময়সীমা যেমন দিনের ২৫ শতাংশের বেশি না হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র এক চতুর্থাংশ, অর্থাৎ দিনে ঘণ্টা ছ’য়েক সময় অফিসের জন্য দিতে হবে কর্মীদের। সংস্থার তরফে বলা হয়েছে— ‘এটা ২৫/২৫ মডেল’।
[৪] মহামারি পরিস্থিতির কারণে টিসিএস কর্তৃপক্ষ আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী পাঁচ বছর মাত্র ২৫ শতাংশ কর্মী অফিসে এসে কাজ করবেন। বাকি ৭৫ শতাংশ কাজ করবেন বাড়ি থেকেই। ২০২৫ সাল পর্যন্ত ২৫ শতাংশ কর্মী দিয়েই অফিস চালানো হবে। বাকিরা বাড়ি থেকে কাজ করলেই হবে। কারণ, উৎপাদনশীলতা শতভাগ চালু রাখতে এর বেশি সংখ্যক কর্মীকে অফিসে নিয়ে আসার প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না টিসিএস।
[৫] টিসিএসের দাবি কাজের সময়সীমা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তও ২৫/২৫ মডেলেরই অংশ। মঙ্গলবার, টিসিএস মুখপাত্র বলেন, ‘এখন আমাদের ৫ শতাংশ সহকর্মী অফিসে বসে কাজ করছেন। চলতি বছরের শেষে আরও বেশি সংখ্যক কর্মীদের অফিসে এসে কাজ করার বিষয়ে উৎসাহিত করা হবে। তারপর আমরা ২৫/২৫ মডেল কার্যকর করব।’ প্রসঙ্গত, অতিরিক্ত সময় অফিসে থাকার ফলে কর্মীদের মানসিক অবসাদ, স্বাস্থ্যহানি, কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার মতো অনেক সমস্যা ঘটতে পারে বলে নানা সমীক্ষায় উঠে এসেছে। সে দিকে লক্ষ্য রেখেই টিসিএস কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
সম্পাদনা: আখিরুজ্জামান সোহান