মাসুদ আলম: [২] সোমবার সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রোববার রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা এলাকা থেকে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের অনলাইন দাওয়াহ শাখার প্রধান হাসিবুর রহমান ওরফে আযযাম আল গালিবকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। অনলাইন জঙ্গিবাদের কথিত ত্রিরত্ন’র একজন এই হাসিবুর। তাকে গ্রেপ্তার করায় অনলাইনে জঙ্গিবাদের প্রচারণা ৮০ শতাংশ কমে আসবে ।
[৩] তিনি বলেন, হাসিবুর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এল.এল.বি ১ম বর্ষের ছাত্র। এর আগে অনলাইন প্রচারণার ‘ত্রিরত্নের দুই রত্ন’ আল আমিন সিদ্দিকী ও জোবায়দা সিদ্দিকী নাবিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নকালে জঙ্গিবাদের আদর্শে দীক্ষিত হন তিনি। এই সময়ে তিনি বিপুল পরিমাণে উগ্রবাদী বই পড়তে শুরু করেন। প্রথমে তিনি আনসার আল ইসলাম ও আন্তর্জাতিক সহিংস উগ্রবাদী সংগঠন আল কায়েদার আদর্শ ও মতবাদ প্রচারকারী ফেসবুক আইডি জামিল হাসান ও জামশেদ হোসেইন’র মঙ্গে যুক্ত হন। এই আইডি দুটিতে তালেবান ও আল কায়েদার বিভিন্ন লেখালেখি হতো। তাদের বিভিন্ন সংবাদ প্রচার করানো হতো। হাসিবুর রহমান তাদের লেখা ও মতাদর্শে আগ্রহী হয়।
[৪] আসাদুজ্জামান বলেন, ২০১৯ সালে হাসিবুর রহমান আল কায়েদা ও আনসার আল ইসলামের মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়ে নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি শুরু করেন। এসব লেখা লেখির জন্য তিনি ‘আযযাম আল গালিব’ নামে ফেসবুক আইডি খোলেন। এই নামে তিনি একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল খুলে ফেসবুক ও টেলিগ্রামে আনসার আল ইসলাম ও আল কায়েদার সমর্থনে লেখালেখি শুরু করেন। পাশাপাশি ফেসবুকে মুয়াহিদ মুসলিম নামে আরও একটি পেজ ওপেন করেন। সেখানে তিনি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে সদস্য সংগ্রহ করতে থাকেন। এই পেজটি থেকে উগ্র মতবাদ ছড়ানোর অভিযোগে তার পেজটি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে রাখেন।’
[৫] সিটিটিসি প্রধান আরও বলেন, সর্বশেষ তিনি আব্দুল্লাহ গালিব আযযাম নামে একটি ফেসবুক আইডি ব্যবহার করতেন। হাসিবুর রহমানের সঙ্গে টেলিগ্রামে একই মতাদর্শ প্রচারকারী ‘জায়েদ ইবনে আলী’ ও ‘শাফায়েত মুসান্ন ইসা’ নামে আইডি পরিচালনাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়। তারা একত্রে সংগঠনের প্রচার-প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেন। হাসিবুর রহমান ‘জায়েদ ইবনে আলী’ ও ‘শাফায়েত মুসান্না ইসার’ সঙ্গে আনসার আল ইসলামের মতদর্শ প্রচারের তথাকথিত ‘ত্রিরত্ন’র প্রধান হিসেবে অনলাইন র্যাডিক্যালাইজেশনের নেতৃত্ব প্রদান করেন। হাসিবুরের ফেসবুক আইডিতে জিহাদসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হয় এমন সব কন্টেন্ট ছিল, যার কারণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তার আইডিটি বন্ধ করে দেয়।