শিরোনাম
◈ রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকার: ভারতীয় কূটনীতিকের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠকের কথা জানালেন জামায়াত আমীর ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের স্পিকারের সাক্ষাৎ ◈ নতুন বছরে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলব: প্রধান উপদেষ্টা ◈ বি‌সি‌বি কর্মকর্তারা সিলেট স্টেডিয়াম থেকে খালেদা জিয়ার জানাজায় শরিক হন ◈ ইসলামী বক্তা আমির হামজার সম্পদ ১.৫৭ কোটি টাকা, স্বর্ণ ও আসবাব উপহার হিসেবে প্রাপ্ত ◈ খালেদা জিয়া ও ভারতের সম্পর্কে ওঠাপড়া আর আড়ষ্টতার নেপথ্যে ◈ চীন–বাংলাদেশ বন্ধুত্বে খালেদা জিয়ার অবদান চিরস্মরণীয়: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমাসহ সব কর্মসূচি স্থগিত, খুলে ফেলা হচ্ছে প্যান্ডেল  ◈ খালেদা জিয়ার দর্শন–মূল্যবোধ ভারত–বাংলাদেশ অংশীদারত্বে দিকনির্দেশ দেবে: জয়শঙ্কর ◈ একযোগে এনবিআরের ১৭ কমিশনারকে বদলি

প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর, ২০২১, ০৯:০৩ সকাল
আপডেট : ০২ নভেম্বর, ২০২১, ০৯:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] উত্তর প্রদেশে ‘জয় শ্রী রাম’ধ্বনি না দেওয়ায় মুসলিম যুবককে মারধর, গ্রেফতার ২

রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে আমীর খান নামে এক মুসলিম যুবককে জোরকরে ‘জয় শ্রী রাম’ধ্বনি দিতে বাধ্য করার পর তাকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। ওই যুবক ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনি না দিতে চাওয়ায় তাকে লাঠি-ডান্ডা দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। পারসটুডে

[৩] উত্তর প্রদেশের আলীগড়ের হারদুয়াগঞ্জ থানা এলাকার ওই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্বৃত্তরা মুসলিম ফেরিওয়ালা কাপড় বিক্রেতা ওই যুবকের কাছ থেকে তার মোবাইল ও টাকাও ছিনিয়ে নেয়।

[৪] হিন্দি গণমাধ্যম ‘জি নিউজ’এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ, ওই যুবককে আহত অবস্থায় প্রথমে জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে জেএন মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ হামলাকারী বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে।

[৫] গণমাধ্যমে প্রকাশ, আলীগড়ের হারদুয়াগঞ্জ থানার সিল্লা বিসাওয়ানপুর এলাকার বাসিন্দা আমীর খান ফেরিওয়ালা হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় কাপড় বিক্রি করেন। রোববার সন্ধ্যায় নাগলা খেম এলাকায় কাপড় বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।

[৬] আহত আমীর খানের অভিযোগ, তিনি যখন নাগলা খেম পৌঁছান, তখন তিনি কিছু গ্রাহককে কাপড় দেখাতে থামেন। এ সময়ে দু’জন লোক তাকে তার নাম এবং ধর্ম জিজ্ঞেস করে। আমীর তার নাম বললে তারা তাকে গালিগালাজ শুরু করে এবং তারপর ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে বলে এবং মারধর শুরু করে। এ সময়ে তার মোটর বাইকে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।

[৭] আমীর বলেন, এ সময়ে তার মোবাইল ও টাকাপয়সাও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। স্থানীয় এক নারী আমীরকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও দুর্বৃত্তরা তাকে পাশ কাটিয়ে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করে। ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত আমীরের চাচা বলেন, ভাতিজা আমীর কাপড় বিক্রেতার কাজ করে। নাগলা খেমে দুর্বৃত্তরা আমীরকে মারধর করেছে। গ্রামবাসীরা জানান, এই দুর্বৃত্তরা ‘বজরং দল’-এর। তারা এভাবে মারধর করে থাকে। ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। আহতের বাবার তরফে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমীরের বাবার দেওয়া বিবরণে মারধর ও প্রাণঘাতী হামলার কথা বলা হয়েছে।

[৮] পুলিশ কর্মকর্তা শিবপ্রতাপ সিং বলেছেন, ওই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত পিতা-পুত্র রাজু এবং দেবেশ ওরফে দেবেন্দ্রকে গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে এবং শান্তি ভঙ্গের অভিযোগে জেলে পাঠিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের অভিযোগ অনুসারে, তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৩ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তরা ধরা পড়লে তারা এ সময়ে ‘ভারত মাতা কী জয়’স্লোগান দেয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়