শিরোনাম
◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ০২:৩৫ দুপুর
আপডেট : ৩০ অক্টোবর, ২০২১, ০২:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বড়শিতেই জীবন-জীবিকা

উত্তম কুমার: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বড়শিতেই চলছে শতাধিক পরিবারের জীবন-জীবিকা। উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের কাঁঠালপাড়া গ্রামে কচুপাত্রা নদীর মাঝ খানে সাড়িবদ্ধ ভাবে ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা বাধা রয়েছে। এতে বসে আছে একজন করে। আর তারা নদীতে ফেলছে তিন চারটা করে বড়শি। প্রায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছেন কখন উঠবে কাঙ্খিত মাছ। কারও বড়শিতে চিংড়ি, গুলসা, বগুনা, কোড়াল, গাগঁড়া, পাঙ্গাশ, রুই, কাউন, পোয়া, বাইলা ও কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা দিচ্ছে। আবার অনেক বড়শিতে উঠছে বড় সাইজেরও মাছ। এসব মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন ওইসব মৎস্যজীবিরা।

স্থাণীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের কচুপাত্রা স্লুইজ সংলগ্ন নদীতে বড়শি ফেলে মাছ শিকারের মাধ্যমে শতাধিক জেলে পরিবার জীবিকা নির্বাহ করছে। এসব মৎস্য শিকারীর কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তারা জোঁ বুঝে চব্বিশ ঘন্টাই কেউ না কেউ নৌকাতে দীর্ঘ সময় ধরে বড়শি নিয়ে বসে থাকে। বর্তমানে নদীতে মাছ কমে গেছে। তাই অনেকেই এ পেশার পরিবর্তন করছেন ওইসব মৎস্যজীবিরা জানিয়েছেন।

তিন বছর ধরে নৌকায় বসে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করছে কাঁঠাল পাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাজ্জাক মিয়া। তিনি বলেন, তিন বছর ধরে এই নদীতে বড়শি বাই। মাছ যা পাই তা বাজারে দুইশ থেকে তিনশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। এর উপরই ৫ সদস্যের পুরো পরিবারের ভরনপোষন চলে। অপর বড়শি মাছ শিকারী মো.ছলেম উদ্দিন বলেন, আগে বড় সাইজের মাছ ধরা পড়তো।তবে এখন নদীতে মাছ কমে গেছে।

ওই ইউনিয়নের নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো.মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তারা দীর্ঘ দিন ধরে এই নদীতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে। আর বিদ্যালয় ছুটি শেষে আমরাও ওদের কাছ থেকে মাছ কিনে বাড়িতে নিয়ে আসি।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান,এসব জেলেদের জেলে কার্ড করার উদ্যোগ গ্রহন করা হচ্ছে। এছাড়া সরকারী কোন বরাদ্ধ আসলে তাদের সহয়তা করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়